হোলিতে প্রিয় মানুষকে কোন রঙের আবিরে দেখতে চান পর্দার ‘নবাব’?

হোলি মানে হুল্লোড়, রং, হইচই। তবে বয়স যত বাড়ে তত বদলাতে থাকে হোলি। স্কুল বা কলেজ জীবনে একরকম আবার কেরিয়ারে পা রাখলে তখন পেশার খাতিরে বদলে যায় রং উৎসবের উদযাপন। একসময় রং মাখতে ভীষণ ভাল লাগত, এখন পরের দিন শ্যুটিং আছে মনে রাখতে হয়। কিন্তু রং অবাধ। তাকে এড়িয়ে থাকা যায় না। বসন্তের হাওয়া গায়ে লাগলেই রঙ ছুঁয়ে দেয় মন। ‘আঁচল’, ‘সাঁঝের বাতি’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাবনন্দিনী’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দর্শকদের মন ছুঁয়েছেন অভিনেতা রিজওয়ান রব্বানি শেখ। দর্শকরা বারবার দেখতে চেয়েছে এই অভিনেতাকে। টেলিভিশনের পর্দা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্র তাঁর জনপ্রিয়তা। দোল উৎসবে এবার তাঁর স্পেশ্যাল প্ল্যান কী, জিয়ো বাংলার টলিকথা’র আড্ডায় সেই সিক্রেট শেয়ার করলেন অভিনেতা রিজওয়ান রব্বানি শেখ।

প্রঃ ছোটবেলার দোল আর এখনকার দোল কতটা বদলেছে তোমার কাছে?

রিজওয়ানঃ বলতে গেলে আমি এখনও ছোটই আছি। এক্সটেন্ডেড চাইল্ডহুড চলছে আমার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলায়। আগে যে এক্সাইটমেন্ট নিয়ে রঙ খেলতাম এখন সেটা সম্ভব হয় না। আর দ্বিতীয়ত, যতই অরগ্যানিক আবির রঙের কথা বলি একটা স্ট্রেন থেকেই যায়, সেটা শ্যুটিং্যের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়, তারপর ডাস্ট অ্যালার্জি…তাই হোলি ভাল লাগলেও দূরে থাকি।

প্রঃ ছোটবেলায় সেভাবে হোলি খেলা হয়নি বলছ?

রিজওয়ানঃ ছোটবেলায় হয়েছে। স্কুল-কলেজে যখন পড়ি তখন শ্যুটিংয়ের বাধা ছিল না, যে কাল শ্যুট আছে অসুবিধা হবে সেই সময় চুটিয়ে রং খেলেছি। কিন্তু কাজ শুরু করার পর সেই জায়গা থেকে সরে গেছি। শ্যুটিং-এ কন্টিনিউটির ব্যাপার থাকে। এখন হোলি খেলা বলতে স্যিকুয়েন্সে যখন হোলি খেলা হয়। সেই সিরিয়ালের সেই চরিত্র কীভাবে রং খেলবে তার ওপর নির্ভর করে। রং খেলা হয়ে গেছে চরিত্র অনুযায়ী। রিজওয়ান না, চরিত্রটা রং খেলে।

প্রঃ সেটে রং খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে?

রিজওয়ানঃ অলমোস্ট সবকটা শোতেই, একটা মিউজিক ভিডিয়ো করেছিলাম তাতেও রঙে ভূত হয়ে খেলা হয়েছিল। ‘আঁচল’, ‘প্রতিদান’ সবেতেই রং খেলার সিক্যুয়েন্স ছিল। ‘নবাব নন্দিনী’তে এখনও আসেনি, বাকি সবগুলোতে খেলেছি।

প্রঃ হোলি হোক বা দোল আমাদের ইমোশনের জায়গা, শিল্পীদের কাছে ইমোশনের জায়গা কাজ, তোমারই ইন্ড্রাস্ট্রিতে কেমনভাবে শুরু হয়েছিল জার্নি?

রিজওয়ানঃ সবার আলাদা আলাদা জার্নি আছে, শুরুটা প্রায় সকলের এক, খুব স্মুদ হয় না। আমার একটু অন্যরকম হয়েছিল। আমার কাজে আসা ফেসবুকের মাধ্যমে। মণি স্যার ছিলেন আমার ডিরক্টর, উনি একটা পোস্টে লিখেছিলেন যোগাযোগ করার জন্য। তাই খুব একটা অসুবিধা হয়নি কাজ পাওয়ার জায়গা থেকে। আমার প্রথম কাজ স্টুডেন্ট অবস্থায়। একটা অস্ট্রেলিয়ার ফিচার ফিল্মে। ‘দ্য ওয়েটিং সিটি’তে একটা ছোট্ট রোল করেছিলাম।    

প্রঃ দর্শকদের একটা প্রশ্ন ছিল, তোমার প্রিয় মানুষকে এই দোলে কোন রঙে দেখতে চাও?

রিজওয়ানঃ কোনও একজন না, আমার প্রচুর প্রিয় মানুষ আছে। সবাই আমার প্রিয়। আমি  বাইকে ভালোবাসি কাউকে সুপারইম্পোস করতে চাই না। যার যে রঙটা পছন্দ সেই রঙই খেলবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...