গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হলে কী করবেন? এই ব্যথা স্বাভাবিক নাকি ঝুঁকিপূর্ণ? অ্যাবডোমিনাল পেইন হলে কী ধরনের সাবধানতা নেবেন, পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সোনালী মুখোপাধ্যায় ভট্টাচার্য (Dr Sonali Mukherjee Bhattacharyya, Gynaecologist)
প্রেগনেন্সির সময় তা পেইনলেস হবে এটাই কাম্য। যদি ব্যথা হয় তাহলে সেটাই চিন্তার কারণ। যদি ব্যথা বোধ হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
প্রথমত উপসর্গ রক্তপাত। যদি সামান্যতম চিহ্নও দেখা যায় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করতে হবে। ব্যথা হলেই গর্ভপাতের আশঙ্কা থেকে যায়। সেটাই সবচেয়ে চিন্তার।
অনেক সময় দেখা যায় ব্যথা কমাতে পেইনকিলার খাচ্ছেন হবু মা, কিন্তু এই পদক্ষেপ অতি বিপদজনক। চিকিৎসকদের বড় চিন্তা একটোপিক প্রেগনেন্সি। মানে শিশু জরায়ুর মধ্যে না থেকে জরায়ুর আশেপাশে অন্য কোনও জায়গায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে আটকে গেলে শিশুর আয়তন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা ফেটে যায় এবং মায়ের প্রাণ সংশয় হয়। সুতরাং এই সময় ব্যথার কথা জানা গেলেই আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হয় এবং শিশুর অবস্থা বোঝার চেষ্টা হয়। মাকে বাঁচাতে অনেক সময় আপদকালীন অস্ত্রপ্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গর্ভাবস্থায় শিশুর হয়ত মৃত্যু হয়েছে মা বুঝতে পারেনি সেক্ষেত্রেও লক্ষণ ব্যথা। এই বিপদ এড়াতে সোজা হয়ে শোয়া মায়ের একেবারেই উচিত নয়। বাঁ দিকে কাত হয়ে শুলে শিশু অক্সিজেন পায় সবচেয়ে বেশি। পিঠে বালিশ দিয়ে শোয়া উচিত। প্রথম তিনমাস খুব সাবধানে থাকতে হবে। ল্যাপটপে বসে কাজ করলে তলপেটে চাপ পড়ে। ঝাঁকুনি, হোঁচট, ধাক্কা থেকে সাবধানে থাকতে হবে। তলপেটে চাপ পড়ে এমন কোনও কিছু করা যাবে না