গরম পড়লেই শরীরের কথা ভেবে মানুষের খাবার বদলের পরামর্শ দেন চিকিত্সকেরা| একইভাবে গরমের কারণে আলিপুর চিড়িয়াখানার অন্দরের বাসিন্দাদের জন্য খাবারের পরিবর্তন এসেছে|
শিম্পাজী মশায়ের এই চড়া রোদে একটা রসালো তরমুজ পেলেই মেজাজ একদম ঠান্ডা, আর ভাল্লুক লাঞ্চ সারছেন দইভাত দিয়ে| চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশীষ সামন্ত জানাচ্ছেন আলিপুরে চিড়িয়াখানার প্রায় ৯০% প্রাণী নিরামিষাশী| অর্থাৎ ফলমূল, ঘাসপাতার উপরে নির্ভরশীল| তবে গরমে সবারই ডায়েটে বদল ঘটেছে| শিম্পাজী, বানর, পাখি এদের তরমুজ, শশা জাতীয় রসালো খাবার দেওয়া হচ্ছে| জলে ও.আর.এস মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে|
বাঘ, সিংহদের গরমে মাংসে কিছুটা অরুচি হয় তাই তাদের মাংসের পরিমান ৫/৬ থেকে কমিয়ে ২/৩ কেজি কেজি করা হয়েছে| এবং জলে যাতে ঘাটতি না পড়ে তার উপর কড়া নজর রাখে কিপ
তবে শুধু খাবার না বাসস্থানেরও বদল ঘটানো হয়| পাখিদের খাঁচার উপর দরমার ছাউনি দেওয়া হয়েছে| ঠান্ডা রাখতে তার উপর জল ছিটানো হচ্ছে| হাতিদের স্নানের জন্য ফোয়ারার ব্যবস্থা আছে| এছাড়াও বাঘ সিংহদের জল ছিটিয়ে স্নান করানো হচ্ছে| সাপেদের খাঁচাতে ফ্যান লাগানো হয়েছে|
চিড়িয়াখানার এক অধিকর্তার কথায় জনসাধারণের কাছে ওরা মানুষ না হলেও তাদের কাছে পশুরা মানুষের থেকে কম কিছু না |