এই একবিংশ শতকে আমাদের হাতে একদম সময় নেই। নিজেদের কাজের মধ্যে আমরা নিজেদের এমনভাবে জড়িয়ে ফেলেছি, যে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কাজগুলো আমরা করতে পারছিনা। তার মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটা সর্বাগ্রে আসবে। আমরা সময় মতো খেতে পারিনা। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে আমরা অপারগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা তাই আশ্রয় নিই বাইরের খাবার অথবা হোম ডেলিভারির ওপর। সেক্ষেত্রেও রয়েছে বিস্তর সমস্যা। সময়মতো হয়তো আমরাই খাবার অর্ডার দিতে পারলাম না, অথবা ডেলিভারি সংস্থা সময়মতো খাবার ডেলিভারি দিতে পারছেনা। এ হেন সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়তই প্রযুক্তি আমাদের সাহায্য করে চলেছে। নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে আমরা অবাক হচ্ছি প্রতিনিয়তই। এ হেন অবাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে এবারে একটি ডেলিভারি সংস্থা। আপনি খাবার অর্ডার দিলেই উড়ে উড়ে খাবার চলে আসবে আপনার একেবারে কাছে। সত্যিই তাই। এই সংস্থাটি বেশ কিছুদিন আগে একজন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে কাজ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আবার তারা শিরোনামে।
ড্রোন ডেলিভারি টেকনোলজিকে হাতিয়ার করে জোম্যাটো নিয়ে এল তাদের নবতম উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া 'ড্রোন ডেলিভারি'। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন জোম্যাটোকে ড্রোন ব্যবহারে ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই তা বাস্তবায়িত করার জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সেই সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা। লখনৌয়ের নানা জায়গায় ড্রোন-সেট আপ-এর ব্যবস্থা প্রায় রেডি বলে খবর। পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন উড়িয়েও দেখা হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই চালু হয়ে যেতে পারে এই পরিষেবা। মূলতঃ প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার জন্যই এই পরিষেবা আনতে চলেছে ওই সংস্থা।
জোম্যাটো জানিয়েছে, ডিজিসিএ মোট পাঁচ রকম ক্যাটাগরির জন্য ড্রোনের অনুমতি দিয়েছে। ন্যানো- ২৫০ গ্রাম, মাইক্রো-২৫০ গ্রাম, থেকে ২ কেজি, ছোট-২ কেজি থেকে ২৫ কেজি, মাঝারি- ২৫ কেজি থেকে ১৫০ কেজি এবং ১৫০ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন। ডিজিসিএ-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ড্রোন ডেলিভারি টেকনোলজি পরিষেবার খরচ ও সময় দুটোই বাঁচবে বলে জানিয়েছে ওই ডেলিভারি সংস্থা। আকাশপথে ডেলিভারি পরিষেবা হওয়ার কারণে ৩০ মিনিটের রাস্তা মাত্র ১৫ মিনিটেই পৌঁছনো যাবে। যানজটের সমস্যাও থাকবেনা। এই রকম পরিষেবার জন্য যে কোনো সংস্থা আবেদন করতে পারে বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ।
We successfully tested a hybrid drone 🛩️ – fusion of rotary wing and fixed wings on a single drone; covered 5 kms in 10 mins with a peak speed of 80 kmph; with a payload of 5kgs.
— Deepinder Goyal (@deepigoyal) June 12, 2019
Exciting times ahead!
For more details – https://t.co/e9qgGQy9ex pic.twitter.com/DbrUCmK2AW