চুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ সকলের কাছেই। চুলের যত্ন নিতে আমরা অনেকেই অনেককিছু করে থাকি। তবে কোন উপাদানে আমাদের চুল সঠিক পুষ্টি পাবে তা বেছে নেওয়া মাঝেমধ্যে কঠিন চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়।
পুজো তো এসেই গেল, আর হাতে গোনা কয়েক দিন বাকি। কেনাকানা চুটিয়ে চলছে। সঙ্গে রূপচর্চার প্রস্তুতিও তুঙ্গে। চুলই বা বাদ যায় কেন!
চুলের যত্ন নিতে কেউ কেউ পার্লারে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটান, সয়ম এবং টাকা দু’টোই ইনভেস্ট করতে হয় তার পিছনে। এতে হয়ত চকচকে সুন্দর কোমল চুল মেলে, তবে আমরা যদি সঠিক ডায়েট অনুসরণ করি তাহলে চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখা যাবে দীর্ঘদিন।
গবেষণা বলছে, কিছু ভিটামিন ও খনিজ নিখুঁতভাবে চুলের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন সক্ষম। আর এমনই একটি খনিজ হল জিঙ্ক, যা সেলুলার মেটাবলিজম, ইমিউন ফাংশন ও ক্ষত সারাতে খুবই প্রয়োজনীয় ভূমিকা নেয়।
গবেষণা থেকে জানা যায়, এটি ত্বকের ওপরের ক্ষত সারাতে পারে, বিশেষত ব্রণ,সোরিয়াসিস ও ডার্মাটাইটিস। জিঙ্ক যদিও আপনার চুলের গ্রোথ বাড়াবে না, তবে এটি যদি আপনার ডায়েটে যুক্ত করলে এটি লাইফলেস লক আর চুল পড়া কমাবে।
“ডার্মাটোলোজি প্রাকটিক্যাল এন্ড কনসেপচুয়াল”-এ প্রকাশিত এই গবেষণায় ডায়েট ও হেয়ার লসে নিউট্রিয়েন্স-এর প্রভাব নিয়ে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, জিঙ্ক একটি প্রয়োজনীয় খনিজ, জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে শত শত এনজাইম ও একাধিক ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরগুলির জন্য দরকারি হলো এই খনিজ। প্রোটিন সিনথেসিস ও সেল ডিভিশনেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
জিঙ্ক সম্বলিত ডায়েটে রাখতে পারেন এই খাদ্যগুলি:
১. জিঙ্ক সমন্বিত খাবারের মধ্যে প্রধান হল, ডিম। একটি পরিপুষ্ট ডিমে ৫ শতাংশ জিঙ্কের ডিভি(Daily Value) থাকে| এছাড়াও প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন বি, সেলেনিয়াম ও ক্লোরিন থাকে।
২. শণ, কুমড়ো, তিলের বীজে থাকে জিঙ্ক। এইগুলি ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ভিটামিনের খুব ভালো উৎস, যা একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে বানাতে সক্ষম।
৩. কাবুলি ছোলা, মুসূর ও মটরশুটিতে থাকে সারগর্ভ পরিমানে জিঙ্ক।
৪. বাদামও জিঙ্ক ও অন্যান্য নিউট্রিয়েন্স-এর সমন্বয়ে একটি সুসম খাদ্য হিসাবে ডায়েটে যুক্ত হতে পারে।
৫. অবশেষে বলা যেতে পারে, ডার্ক চকোলেট। এতে অনেক পরিমানে চিনি ও ক্যালোরি থাকে তাই এটি স্বল্প পরিমানে সংযমে খাওয়া উচিত, কারণ এটি জিঙ্কের প্রাকৃতিক উৎস নয়।