উড়ন্ত চাকতির খোঁজে

তখন কাঁকুড়গাছি হদ্য গ্রাম। বাঁশবাগান আর ঝিঁঝির জঙ্গল। তবু সেখানেই ঘটেছিল এমন আশ্চর্য ঘটনা!
পৃথিবীর কেউ কোনওদিন বিশ্বাস করেনি। করতও না। যদি না পঞ্চা ঘোষের দশ-দশটা বাঁশঝাড় ওমন ন্যাড়া হয়ে না যেত।
আর যদি না তার দেখা হত বঙ্কুবাবুর সঙ্গে।

পৃথিবীর মাটি যে সত্যি সত্যিই এং এসে ছুঁয়েছিল সে তো কবে থেকেই জানতেন কাঁকুড়গাছি প্রাইমারী স্কুলের ভূগোল শিক্ষক বঙ্কুবিহারী দত্ত।
সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত কল্পকাহিনী ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’।
বঙ্কু বাবুরবন্ধু এং।

এবার তার খোঁজ করতেই কোমর বাঁধছে পেন্টাগন আর নাসা। শুরু হবে সিরিয়াস খোঁজাখুঁজি। আসলে এং নয়, বিষয়টা ইউএফও। মানে 'আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস'। সোজা কথায় অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু।
এই বস্তুকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ অফুরান। শুধু মহাকাশপ্রেমী নয়, সাধারণ মানুষ থেকে গল্পখোর সকলেই। কল্পবিজ্ঞানে গল্পের স্টক শেষ হয় না। সিনেমা থেকে শুরু করে টেলিভিশন সিরিজ, কমিকস, গান কোথায় নেই ইউএফও!

ভিনগ্রহের প্রাণীদের চাকতিযানে চড়ে পৃথিবীতে আসার তত্ত্ব নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে নানা যুক্তি দিয়ে আসছেন একদল বিজ্ঞানী। তাঁরা ইউএফওলজিস্ট।

UFO1

ইউএফওগুলো যে অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছে এমন মতবাদের পক্ষে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে বিষয়টি নিয়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নড়েচড়ে বসেছে এতে কোনও দ্বিমত নেই।

গত বছরের আগস্ট মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর বা পেন্টাগন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে।
প্রধান উদ্দেশ্য, অজানা ইউএফও নিয়ে এখনও পর্যন্ত যে সব রিপোর্ট এবং তথ্য জমা পড়েছে পরীক্ষা করে দেখা।
আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা টাস্ক ফোর্স।

শুধু তথ্য বা রিপোর্ট যাচাই নয় গোটা বিষয়টি নিয়েই টাস্কফোর্স খুঁটিয়ে দেখা শুরু করে।
সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে,

ভিনগ্রহীদের নিয়ে পেন্টাগন যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তার কোনও ‘বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা’ আমেরিকার প্রশাসনের হাতে নেই। কিন্তু ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব এবং নিজেদের নৌবাহিনীর অফিসারদের নজরে-পড়া আকাশে উড়ন্ত যানগুলিকে একেবারে উড়িয়ে দিতে পারেনি বাইডেন সরকার।

২০০৪ সাল থেকে ওই ধরনের ঘটনার মোট ১৪৩টি রিপোর্ট তাদের কাছে রয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ২১টি রিপোর্ট রয়েছে, যেগুলি ১৮টি পর্বে দেখা গিয়েছে।

প্রমাণ না পাওয়া গেলেও গোটা বিষয়টি যে একেবারেই ‘গালগল্প’ একথাও উড়িয়ে দেয়নি মার্কিন প্রশাসন।
জুন মাসের শেষে সামনে আসে ইউএফও নিয়ে মার্কিন বক্তব্য। তারপর কার্যত নড়েচড়ে বসেছে মহাকাশ এবং ইউএফও প্রেমীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন এবং রাশিয়াও বহুদিন ধরে ইউএফও নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...