আজ বিশ্ব থ্রম্বোসিস দিবস। প্রতিবছর জার্মান চিকিৎসক, রোগবিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী এবং নৃতত্ত্ববিদ রুডলফ্ ভারচোর জন্মদিনে ১৩ অক্টোবর দিনটি বিশ্ব থ্রম্বোসিস দিবস হিসেবে পালিত হয়। তিনি প্রথম এই রোগের বিষয়ে সাধারণের মধ্যে ধারণা তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। থ্রম্বোসিস সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে, ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ব থ্রম্বোসিস দিবস চালু করে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অন থ্রম্বোসিস এন্ড হেমোস্ট্যাটিস’।
থ্রম্বোসিস কী?
ধমনী বা শিরায় যখন রক্ত জমাট বেঁধে যায়, তখন তাকে থ্রম্বোসিস বলে। পায়ের গভীরের শিরাগুলিতে রক্ত জমাট বাঁধাকে ‘ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস’ বা ডিভিটি বলে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হয় বা রক্ত চলাচলের গতি কমে যায়। যখন জমাটবদ্ধ রক্ত ফুসফুস রোধ করে, তখন তাকে বলে ‘পালমোনারি এম্বোলিজম’ বা পিই। ডিভিটি এবং পিই একত্রে ভেনাস থ্রম্বোএম্বোলিজম সৃষ্টি করে।
পা বা উরুতে ব্যথা, পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া, পায়ের রঙের লক্ষণীয় পরিবর্তন, পা ঠাণ্ডা বা অনুভূতিহীন হয়ে যেতে পারে। পালমোনারি এম্বোলিজম থাকলে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, বুকে ব্যথা, হৃদ গতি বেড়ে যাওয়া, মাথা হালকা ভাব আসে। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায়।
সঠিক লাইফস্টাইম এই রোগের বিরুদ্ধ অনেকটা প্রতিরোধের কাজ করে। টেনশন, স্ট্রেস, ধূমপানের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়ম করে হাঁটা, শরীর চর্চার মধ্যে থাকতে হবে।