বিপন্ন মহাসাগরীয় পরিবেশ

এই নীল গ্রহের ৭০ শতাংশ জলভাগ দ্বারা গঠিত। সাত মহাসাগরের গহীন জলতল রহস্য রোমাঞ্চ আর অনাবিল সৌন্দর্যে ঘেরা। ৩ ভাগ জল, ১ ভাগ স্থল- জলভাগের আধ্যিকের জন্যই পৃথিবীর নাম ‘নীল-গ্রহ’। কিন্তু বিশ্ব প্রাণের উৎস এই জলতল আজ সংকটের মুখে।মানুষের আত্মঘাতী কার্যকলাপের জেরেই জল-স্থল-নভতল আজ ক্ষয়ের মুখে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছেদূষণের হার। যার অন্তত আশি শতাংশের জন্য সরাসরি দায়ী মানুষ।

সমুদ্রের জলতল হ্রাস, প্রবাল প্রাচীর ক্ষয় এবং অনেক সমস্যা বিপন্ন করে তুলেছে সমুদ্র প্রাণ। মহাসাগরের সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্র পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে।

সমুদ্রের গুরুত্ব বোঝাবার জন্য প্রতিবছর ‘আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবস’ পালন করা হয়।২০০৯ সালে দিনটি চিহ্নিত হয় সমুদ্র দিবস হিসেবে। ১৯৯২ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই বছরেই রিও-ডি- জেনিরোতে ধরিত্রী সম্মেলনে মহাসাগরীয় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষার লক্ষ্যে প্রস্তাব উত্থাপন করেন কানাডার একটি দল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে জাতিসংঘ ৮ জুন দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হবে বলে ঘোষণা করে।

প্রতি বছর এই দিনটির একটি বিশেষ থিম নির্ধারণ করা হয়। এ বছরের থিম ‘সাসটেইনেবল ওসন’। সমুদ্র সংকটের বিভিন্ন দিক উত্থাপন করে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হয়। তবে এ বছর সব আয়োজনই ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ব জোড়া করোনার আবহে পরিবেশ সংকট যেন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...