আজকের এই দিনটির কিন্তু একটা বিশেষ মাহাত্ম্য আছে , এক দিকে যেমন বিশ্ব যোগ দিবস তেমনি ‘ফেত -দে- লা-মিউজিক’ । প্রথমটি পরিচিত হলেও পরের শব্দটি অচেনা লাগছে ! আচ্ছা, এবার যদি বলি আজ বিশ্ব সঙ্গীত দিবস তাহলে ! আগের শব্দটি ফরাসি - বলার কারণ হলো আজ সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য প্রচার মাধ্যমের দৌলতে এইযে বিষয়টা সম্পর্কে মানুষ অবগত হয়েছেন তাঁর জন্মভূমি কিন্তু ফ্রান্স । আজ এই বিষয় নিয়েই কিছু কথা হোক ।
'মিউসিক ' বা ‘সঙ্গীত ‘ ভালোবাসেন না এমন মানুষ বিরল। আর ‘সঙ্গীত ‘ বলতে কিন্তু শুধু গান নয় তার সাথে তালবাদ্য , নানা বাদ্যযন্ত্রের মূর্ছনাও বোঝায় । এটা শিল্পের এক অন্য মাধ্যম । আর বলতে দ্বিধা নেই আজ এই সঙ্গীত শুধু যে শ্রোতা , দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য তা নয় – একটু বৃহত্তর ক্ষেত্রে তার বিচরণ। এই যেমন মানসিক অবসাদ নিরসন, মন ভালো রাখার উপায় হিসেবেও মিউসিক থেরাপির উপকারিতা প্রমাণিত বইকি ! এই যে বললাম যোগ তার সাথেও কিন্তু এর অঙ্গাঙ্গি যোগ রয়েছে - মেডিটেশনের অঙ্গ এখন এই সঙ্গীত, তা ইন্সট্রুমেন্টাল হোক বা ভোকাল । যাইহোক , ২১ শে জুন বহু বছর ধরেই ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ফ্রান্স। এভাবে, ১৯৮২ সালে এই ফেস্টিভ্যাল 'ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে'- তে রূপ নেয়। যার বঙ্গ সংস্করণ এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবস৷
১৯৮২ সালে ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং সর্বপ্রথম বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। ১৯৮৫ সালের ২১ শে জুন প্রথম গোটা ইউরোপ এবং পরে সারা বিশ্ব এই দিনটি সঙ্গীত দিবস হিসেবে পালন করে। এরপর থেকে দিনটি বিশ্ব সঙ্গীত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর প্রথম থেকেই আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দিবসটি পালন করে আসছে । সেই থেকে, উৎসবটি আন্তর্জাতিক রূপ নেয় , একই দিনে চীনসহ ১২০টি দেশের ৭০০০০টিরও বেশি শহরে পালিত হয় । আর এখনো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, স্থানীয় ভাবে অথবা ফরাসি দূতাবাসের সহায়তায় জুনের ২১তারিখে পালন করা হয় 'ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে'।
আর এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উদযাপনের প্রাথমিক লক্ষ্য হ'ল অপেশাদার সঙ্গীত শিল্পীদের কাজ বিশ্বের কাছে প্রদর্শনে উৎসাহিত করা । বিভিন্ন দেশ তার কত ভাষা তার কত ধরণের সুর , সেগুলোর মেলবন্ধন ঘটে যদি এই অস্থির সময়ে মানুষের মধ্যে একটু সৎচেতনা , আত্মনিয়ত্রন , আত্মমূল্যায়নের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় – তা তো ভালো । কারণ মানুষ নিয়েই তো বিশ্ব - তার ভালো থাকার জন্য এই বিশ্ব সঙ্গীতের মেল বন্ধন চলুক, হোক সুর সৃষ্টি , হোক মন শান্ত । এই বিশ্ব সঙ্গীত না হয় যোগাক ভালো করে ,সুস্থভাবে , আনন্দে বেঁচে থাকার রসদ ।