গিনেস বুকে আকাশছোঁয়া ‘ফ্রেম’

জীবনের কিছু মূল্যবান স্থির সময়কে আঁকড়ে রাখে 'ফটোফ্রেম' তাই যেমন তেমন নয়, বেশ বুঝে-শুনে পছন্দ করেই আমরা বাঁধিয়ে রাখি জীবনের সেই মূল্যবান কিছু সময়কে। কিন্তু অনেকেরই হয়তো জানা নেই দুবাই-তে রয়েছে পৃথিবীর সবথেকে বড় আকাশচুম্বী এক 'ফ্রেম' ভাবছেন তো নিজের সবথেকে পছন্দের ছবিটা সেই ফ্রেমে থাকলে কেমন লাগবে? 

ব্যাপারটা হল, দেখতে একটা মস্ত ফটোফ্রেমের মত হলেও তা কিন্তু আসলে এটা একটা বাড়ি। দুবাইয়ের এই বাড়িটিকে সরকারি ভাবে বলা হয়, 'দুবাই ফ্রেম' এই বাড়িটি নির্মিত হয়েছে দুবাইয়ের জাবিল পার্ক এলাকায়। এটির ছাদ থেকে নতুন ও পুরনো দু'রকমভাবে দুবাই শহরকে দৃশ্যত উপভোগ করা যায়। বিল্ডিংয়ের অবজারভেশন ডেক-এ যেতে গেলে টিকিট কাটতে হয়। সাধারণের জন্য সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি।

 এই বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা। বিল্ডিংটি উচ্চতায় ১৫০.২৪ মিটার। ৫০তলা বাড়িটির গ্লাস টাওয়ারটি প্রায় ৫০০ ফুট লম্বা দু’টি ফ্রেম দিয়ে তৈরি। এভাবেই এটি হয়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম ফ্রেম।

দু’টি টাওয়ার সংযুক্ত রয়েছে একটি কাচের সেতুর মাধ্যমে। এর ফলে গোটা শহরের ‘প্যানোরামিক ভিউ’ পাওয়া যায়। দেখা যায় কারামা, দেইরা, বুর দুবাই এবং এমিরেটস টাওয়ারও।

 তবে শুধু কাচ নয়, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, রিএনফোর্সড কংক্রিটও ব্যবহার করা হয়েছে এই দুবাই ফ্রেমে। স্থপতি ফার্নান্দো দোনিস এই বিল্ডিংয়ের নকশা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃতও হয়েছেন এর জন্য। তবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন আদালতে দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দোনিস। কপিরাইট, খরচ-সহ নানা অভিযোগ আনেন তিনি। পরে দোনিস সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, তাঁরই প্রকল্প চুরি করে, নকশা বদলে তাঁকে বাদ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ফ্রেম। সেসব সমস্যা অবশ্য মিটে গিয়েছে এখন। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০১৯-এর ৩০ এপ্রিল দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি ফটোফ্রেমের মতো দেখতে এই বাড়িটির জন্যই পেয়ে গিয়েছে 'গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে'র প্রশংসাপত্র।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...