কিডনি মানুষের দেহে পরিশোধকের কাজ করে। কিডনিজনিত রোগ সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে ৯ মার্চ দিনটি বিশ্ব কিডনি দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। ২০২৩-এ দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি’।
সম্প্রতি কলকাতার গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলে বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপন করল নেফ্রোকেয়ার ইন্ডিয়া। গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একটি বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে সংস্থা।
একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনির মারণ ব্যাধির বিরুদ্ধে গণসচেতনা বৃদ্ধির কাজ করে চলেছে নেফ্রোকেয়ার। এদিন মোট পাঁচটি ইভেন্ট রাখা হয়েছিল। বিশ্ব কিডনি দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে রেনাল বিশেষজ্ঞ ও নেফ্রোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ডাঃ ভরত ভি শাহ, ডাঃ অমিত গুপ্ত, ডাঃ সৌভিক সুরাল, ডাঃ প্রতিম সেনগুপ্ত, অ্যাডভোকেট মমতা বিনানি, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শিবাঙ্গী ভার্মা, ইমরান খান প্রমুখ
নেফ্রোকেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ প্রতিম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “কিডনির স্বাস্থ্য এবং যত্ন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতার স্তর তৈরি করা এবং তা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। কিডনির নিয়মিত যত্ন রেনাল ফেলিওর এড়াতে সাহায্য করতে পারে। পর্যাপ্ত সতর্কতা এবং এই রোগ প্রতিরোধে একটা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কিডনির কার্যকারিতা পরিমাপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে সিরাম ক্রিয়েটিনিন, রক্তের ইউরিয়া নাইট্রোজেন এবং গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ হার। এর মধ্যে সিরাম ক্রিয়েটিনিন সাধারণত ব্যবহৃত হয়।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে নেফ্রোকেয়ার। কিডনি সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান আজ। সাধ্যের মধ্যে সুচিকিৎসা ও রোগীর সার্বিক যত্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব। সমস্ত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার সিদ্ধান্ত প্যাথলজি ও ল্যাবরেটারি রিপোটিং এর উপর ভিত্তি করে, তবেই নেওয়া যায়