আরাম করে সুমেরুর সৌন্দর্য ১০০% উপভোগ করতে জেন হনকেনেনর অভিনব উদ্যোগ -ইগলু হোটেল

উত্তরমেরুতে অভিনব বিলাসবহুল ইগলু হোটেল সুমেরু বা উত্তরমেরু সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ সীমাহীন। কিন্ত কখনও সেই উত্তর মেরুর ইগলুতে রাত কাটানোর স্বপ্ন দেখেছেন?  দেখলে -সেই স্বপ্নকেই বাস্তবায়িত করার সুযোগ করে দিচ্ছেন জেন হনকেনেন। বিষয়টি তারই মস্তিষ্ক প্রসূত।

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে সুমেরু। ফিনল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল পর্যটন সংস্থা, লাক্সারি অ্যাকশন উত্তর মেরুতে ইগলু ধাঁচের অস্থায়ী হোটেলগুলি তৈরি করেছে। একাধারে যার প্রতিষ্ঠাতা, সিইও জেন হনকেনেন। যাঁরা ঘুরতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য সুখবর। আগামী বছরের এপ্রিলে খুলছে পৃথিবীর প্রথম বিলাসবহুল ইগলু হোটেল

উত্তর মেরুতে ইগলুর মতো দেখতে তৈরি হোটেলগুলি পর্যটকদের জন্য বছরে এক মাসের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ইগলুর মতো ছোট ছোট এই হোটেলগুলির দেওয়াল ও ছাদ তৈরি হয়েছে কাচ দিয়ে। জেন হনকেনেন জানিয়েছেন, যাঁরা পরিবেশ ভালবাসেন তাঁদের জন্য এই হোটেল। তাঁর দাবি এই হোটেলের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রচুর মানুষ সেখানে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটা একটা লাইফ টাইম এক্সপিরিয়েন্স হবে তাঁদের জন্য।

বোল্ডার ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোতে আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড অবজারভেশন সেন্টারের সিনিয়র বিজ্ঞানী টেড স্কাম্বোসের মতে, এপ্রিল মাসে যাত্রীরা উত্তর মেরুতে দিনের বেলাতেও গোধূলির মৃদু আলোর সম্মুখীন হবেন এবং তাপমাত্রা হবে - 20 থেকে - 40 ডিগ্রি পর্যন্ত। তাই শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে এই পরিবেশ অনুপযুক্ত।

জেন আরও জানিয়েছেন, পর্যটকদের রাত্রে থাকার জন্য মোট ১০টি কাচের ইগলু তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিতে বসে রাত্রে সুমেরুর সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। দেখতে পাবেন উত্তরমেরু থেকে রাতের আকাশ। আর দিনের বেলায় পর্যটকরা আশেপাশে ঘুরে স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে পরিচয় করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, সুমেরুতে যে সব বিজ্ঞানীরা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলে জানতে পারবেন অনেক অজানা তথ্য। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে সিল, মেরু ভাল্লুক, উত্তর মেরুর পাখি সহ নানা প্রাণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই সুন্দর অভিজ্ঞতা ঠিক কতটা ব্যয়বহুল ?

সে হদিশও পাওয়া গিয়েছে, পাঁচ রাত এই ইগলুগুলিতে থাকার জন্য খরচ পড়বে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৭১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। প্যাকেজের মধ্যে ল্যাপল্যান্ড অঞ্চল থেকে উত্তর মেরুতে বিমান ভ্রমণ, যাবতীয় পরিষেবা, সুরক্ষা এবং এমনকি প্রয়োজনীয় পোশাক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে লাক্সারি অ্যাকশনের সিইও জানিয়েছেন, তাঁরা এটিকে বিলাসবহুল পর্যটন নয় , দেখতে চান উত্তরমেরু অভিযানের মতো। কিন্তু আবহাওয়ার ক্রম পরিবর্তন নিয়ে তিনি নিজেও চিন্তিত-তাই হিমবাহ গলতে শুরু হলে কত দিন এই অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারবেন তাও বিবেচনাধীন। কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন আপাতত এই নতুনত্বের স্বাদে পর্যটকরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তাই পর্যাপ্ত রেস্ত থাকলে স্বপ্ন পূরণের পদক্ষেপ নিতেই পারেন।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...