চিহ্নের ভাষা

আজ সকালে দিনের প্রথম টেক্সটটা করার সময় কোন ইমোজিতে ক্লিক করলেন মনে পড়ছে?🧐

এই একটু মেসেজ টাইপ করার সময় কোন ইমোজিটা কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না যেন?🤨

খেয়াল পড়ছে না তো?🤓

আসলে মনে রাখার তেমন দরকারই মনে হয় ওদের। 😒

কিন্তু আজকাল কি-প্যাডে টাইপ করার সময় অক্ষরের মতোই জরুরি হয়ে উঠেছে ওরা। যাদের আমরা ইমোজি বলে চিনি।🤔🤗🤠

আমরা মনে রাখি না বলে অবশ্য তেমন দুঃখ নেই ইমোজিদের।🥺😩😭

কারণ ওরা জানে ওদের না হলে আমাদের চলবে না যে! 😌

২০১৪ থেকে বদলে গিয়েছে ইনবক্সের অভ্যেস। 📲

হাসি, কান্না, রাগ, বিরক্তি, ঝগড়া, অভিমান, মন ভালো, মন খারাপ সবেতেই জরুরি সঙ্গী। 🧞‍♀️

আজ সেই ইমোজিদের জন্যই ক্যালেন্ডারে বরাদ্দ একটা আস্ত দিন। ১৭ জুলাই। 🪄

#ওয়ার্ল্ডইমোজিডে। টেক জনতার মধ্যে ইমোজির ☺️🎂☺️ব্যবহারকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্যই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।🧠

emoji1

প্রথম প্রথম শুধুই 'ফান ইমোজি'র ব্যবহার চলত। তাও ফেসবুকে। তারপর ধীরে ধীরে হোয়াটসএপ, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সব জায়গায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 👀👽👀

প্রতি বছর বদলে বদলে যায় ইমোজির সংসার। যোগ হয় নতুন সদস্য। এখন যেমন খুব জনপ্রিয় 'ডাবল মিনিং' ইমোজিরা।🤯🤯

ধরুন আপনাকে কেউ সক্কাল সক্কাল ইনবক্সে একটা ছাগলের 🐐ইমোজি পাঠাল। আপনি হয়ত চটে উঠতেও পারেন। 😡

আসলে কিন্তু আপনাকে প্রশংসাই করল মেসেজ যিনি পাঠিয়েছেন। 😇

ছাগল, ইংরেজিতে 'গোট'। নেট ভাষায় তার মানে হল গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম।🤩

আবার আগুন পাঠালে  আপনি 'হট'।🔥

ইমোজির প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ১৯৯৭ তে। জাপানী মোবাইলে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ ও বাকি বিশ্বে। 🌍

বিশ্বের প্রথম ইমোজি শিগেটাকা কুরিতা ১৯৯৮ সালে তৈরি করেন। 🥳

কুরিতা আবহাওয়ার সংকেত, চিনে অক্ষর এবং রাস্তার চিহ্নগুলোকে ইমোজিকে রূপান্তরিত করেন।  🚷

পরে কুরিতা মানুষের মুখভঙ্গি এবং অবজেক্ট পর্যবেক্ষণ করে নিজেই প্রথম ১৮০টি ইমোজি তৈরি করেন। 🤔 👌🏻

১৯৮২ তে স্কট ফালম্যান নামে এক কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রথম অক্ষরের বদলে প্রতীক ⚛️ব্যবহারের ভাবনা শুরু করেন। পরে বিভিন্ন দেশে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়। ✅

তৈরি হয়েছে ইমোজিপিডিয়াও। জেরেমি বারজ নামে এক 📢অস্ট্রেলীয় ব্লগারের ব্রেন চাইল্ড।

আপনার হাসি-কান্নার সঙ্গীরা আসলে আসলে 💬নেট-বিশারদদের অপরিসীম গবেষণা ও ভাবনার ফসল। 👁️🧠👁️

আজ ইমোজিতে ক্লিক করার সময় নয় তাদের জন্য একটু ভালোবাসা রইল 💌

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...