ওয়ার্ল্ড সাইকেল ডে

বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলতেন, জীবন হচ্ছে সাইকেল চালানোর মতো। এতে ভারসাম্য রাখতে চাইলে সামনে এগিয়ে যেতেই হবে।”

বাইসাইকেল আসলে মানুষের স্বাধীন-জীবন যাপন আর প্রগতির প্রতীক।

দু’চাকার সাইকেলের দূষণ মুক্ত দিকটি তুলে ধরতে এবং দূষণহীন যান হিসাবে বাই-সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘ গত বছর সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিবছর জুন মাসের তিন তারিখে পৃথিবীজুড়ে বাইসাইকেল দিবস পালন করা হবে।।

১৮১৭ সালে আবিষ্কার হয় বাইসাইকেল। বহু বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে সাইকেল আজকের চেহারায় এসেছে।

কলকাতা শহরে প্রথম সাইকেলের দোকান কলেজ স্ট্রীটে। হেমেন্দ্রমোহন বসু স্থাপন করেছিলেন।

ইকো ফ্রেন্ডলি’ যান হিসেবে সাড়া পৃথিবীতে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি। যদিও একটা সময় সাইকেলের জনপ্রিয়তা আর চাহিদা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছিল। কিন্তু পরিবেশ বাঁচাতে সাইকেল ছাড়া জীবন অচল।

দু চাকার যানটি একবার চালাতে শিখলে ভুলে যাওয়া মুশকিল।

 সাইকেল শেখার সময় আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সেরেবেলাম অংশের স্নায়ুকোষগুলোর এক্সন ও ডেনড্রাইট-এর মধ্যে নতুন কিছু সংযোগ তৈরি হয়। এই সংযোগগুলো নষ্ট হয় না।

পরবর্তীকালে সাইকেল চালানোর সময় শরীরের কোন অংশ কতটুকু বাঁকিয়ে ভারসাম্য রাখতে হবে, সেটা মস্তিষ্ক আগে থেকেই বুঝে যায়।

 তবে কোনো দুর্ঘটনায় যদি সেরেবেলামের কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে এই সংযোগগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তিকে নতুন করে সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা শিখতে হয়।

টোকিও, লণ্ডন নিউইয়র্ক প্যারিস, বেলজিয়াম, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডের মত দেশগুলোতে  সাইকেল খুব জনপ্রিয়। অনেক জায়গাতে মেইন রোডে আলাদা লেন রাখা হয় সাইকেল আরোহীদের জন্য।

কিন্তু কলকাতা শহরের ৬২টি রাস্তায় সাইকেল এখনও নিষিদ্ধ যান। ২০০৮ সাল থেকে ওই সব রাস্তায় সাইকেল নিয়ে ঢোকার অনুমতি পান না আরোহীরা।  তবে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, পুণে এরকম বেশ কিছু শহরে সাইকেলের জন্য কিছু রাস্তায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন-এর পক্ষ থেকে সাইকেল-কে যেমন শরীর সুস্থ রাখার যান হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তেমনি পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেও সাইকেলের ভূমিকার কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...