বই হোক জরুরি পরিষেবা। লকডাউনের দ্বার বন্ধ জীবনে এমনই দাবী উঠল। বিশ্ব বই দিবসে পাঠক এবং প্রকাশক দুই তরফ থেকেই খাদ্য জল ওষুধের মতো নিত্য দিনের 'জরুরি জিনিস' বই। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্ব জুড়ে ২৩ এপ্রিল পালিত হয়ে আসছে বই দিবস। বই পড়া, বই প্রকাশ, বই এর কপিরাইটের অধিকার রক্ষা করা অর্থাৎ বই সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলাই বিশ্ব বই দিবস উদযাপনের উদ্যেশ্য।
১৯১৬ সালে মারা যান স্পেনের বিখ্যাত লেখক মিশেল দে থেভান্তেস। ওই দেশেরই আর এক বিখ্যাত লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের ছিলেন তাঁর ভাব শিষ্য। প্রিয় লেখককে মনে রাখতে তাঁর মৃত্যুদিনটি বই এর দিন হিসেবে উদযাপন শুরু করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়।তবে এবারের বই দিবসের উদযাপন অন্যান্য বছর গুলোর তুলনায় একেবারেই আলাদা। বিশ্ব জুড়ে করোনার আবহে মানুষ ঘরবন্দী। বুক স্টোর, বই বাজারও সম্পূর্ণ বন্ধ। তাই অনলাইন ভরসা।
সেখানে মিলছে পিডিএফ ভার্সন বই অর্থাৎ ই- বুক, অডিয়ো বুক। অতিমারীর সঙ্কটে অনেক বই প্রেমি ভার্চুয়াল বই দিয়ে সাময়িক খিদে মেটালেও হার্ড কপির বই এর তুলনা তার সঙ্গে কোনভাবেই করা যায় না বলে তাদের মত।
লক ডাউনের জেরে গোটা পৃথিবীতেই বই এর বাজার ধাক্কা খেয়েছে। মার্চের শেষ থেকে টানা দু মাস বন্ধ কাউন্টার। তার জেরে ব্যবসা পড়েছে ৮০ শতাংশ। ছোট বই সংস্থা ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বড় প্রকাশনা সংস্থা অডিয়ো বুক আর কিন্ডলে এডিশনের ওপর জোর দিচ্ছে। কোনও কোনও প্রকাশনা সংস্থা অবশ্য অ্যাপ
চালুর ভাবনা ভাবছে।