অত্যাধুনিক যানবাহন আর জীবন যাত্রার মান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে বায়ুদূষণে ভূমিকা রাখছে প্রতিনিয়ত।এই দূষণ রোধ করতে প্রয়োজন সুপরিকল্পিত নীতি। সম্প্রতি এক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী ও আমলাদের সাথে এই বিষয়ে মত বিনিময় করেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা। বিশ্বের অন্যান্য দেশ কি উপায়ে বায়ু দূষণ রোধে উদ্যোগী হয়েছে তা নিয়েই দৃষ্টিপাত করেন বিশ্ব ব্যাঙ্ক-এর প্রতিনিধি দল।
শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ নয় বরং বিভিন্ন রাজ্যের প্রয়োজন অনুপাতে আর্থিক ভাবে প্রকল্প উন্নয়নে সামিল হতে চায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলে জানিয়েছেন ব্যাঙ্কের প্রোগ্রাম লিডার সুমিলা গুলয়ানি। বায়ু দূষণ ক্রমেই বিপদজনক অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতের দুর্যোগ মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। এই কাজেই রাজ্যের পাশে দাঁড়াবে বিশ্বব্যাঙ্ক সেই লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেই রাজ্য প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসবে বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক-এর কর্তা সুমিলা জানিয়েছেন ভারত উন্নয়নশীল দেশের ভিতর উন্নততম। এই অগ্রগতিকে আরো জোরালো করতে পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণের দিকে জোর দেওয়া উচিত। এই উদ্দেশ্যেই ভারতের পাশে থাকতে চায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বৈঠকে কলকাতার পরিবেশ কর্মীরা জানিয়েছেন পার্ক সার্কাস, ডানলপ, ধাপার কাছে ইএম বাইপাস এবং মুকুন্দপুরের একটি হাসপাতালের সামনে দূষণের মাত্রা পরিমাপ করেছেন তারা। তাতে জানা গেছে ১লা জানুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি অব্দি চারটি জায়গায় বাতাস পরিষ্কার ছিল না। এই দূষণ যে কেবল যান্ত্রিক কারন যেমন যানবাহনের ধোঁয়া থেকে হচ্ছে তা নয় বরং ময়লা আবর্জনা পোড়ানো, কংক্রিটের গুঁড়ো এসব কিছু মিলিয়ে তৈরী হচ্ছে অপরিষ্কার বায়ু। বিশ্ব ব্যাঙ্ক -এর কর্মকর্তারাও এই কথায় একমত হয়েছেন। তাঁদের মতেও বায়ু দূষণের জন্য কেবল যানবাহনই দায়ী নয়।রাজ্যের দূষণ রোধে সরকার যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চলেছে তা নিয়ে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। বাতাসে ধুলোর পরিমান কমাতে ইতিমধ্যে হাওড়া ও কলকাতা পুরসভাকে স্প্রিঙ্কলার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।