সাধারণ মানুষের সকাল শুরুই হয় খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, বধূ হত্যা, বধূ নির্যাতনের মতো সব খবর দিয়ে। সংবাদ পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জাতীয় খবরেরই ছড়াছড়ি। প্রতিদিন সকালে উঠে প্রত্যেকটি মেয়েই ভাবে আজ ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফিরব তো? কেউ আবার ভাবে আজ সব ঠিক ঠাক থাকবে তো? শুধুই মহিলারা নন, একই কথা ভাবে পুরুষমহলও। তবে নির্যাতন কিংবা হেনস্থার কালো হাত সবথেকে বেশি পড়ে মহিলাদের উপরেই- এ কথা অস্বীকার করবে কার সাধ্যি! একজন নারীকে সম্মানিত করলেই এহেন সমস্যার সমাধান হবে না সেটা জানে 'এস সি কমিউমিকেশন'। তবু মানুষকে একবার অন্তত বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে যে মেয়েরা দুর্বল নয়।
তারা পারে না এমন কোনও কাজ নেই। তারা যেমন কাজ করতে জানে তেমনই কাজের জন্য পুরস্কার পাওয়ারও ক্ষমতা রাখে, সম্মানিত হওয়ার ক্ষমতাও আছে তাদের- 'WE'(Women per Excellence) শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন এস সি কমিউনিকেশনের মূল কাণ্ডারি সঙ্গীতা চক্রবর্তী।
এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাত জন মহীয়সী নারীকে সম্মানিত করে এস সি কমিউনিকেশন। সম্মানিত হলেন টালিগঞ্জ হোমের কাণ্ডারি কৃষ্ণা পাইন, অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, লেখিকা আঞ্জুম কাতিয়াল, উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা স্বাতী সরফ, সমাজসেবী তথা জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদ সোহিনী শাস্ত্রী, সঙ্গীত শিল্পী সায়নী পালিত, সাংবাদিক শর্মিলা মাইতি। গত বছর থেকে এহেন উদ্যোগে উদ্যোগী হয়েছে এই সংস্থা।
পুরস্কারগুলি প্রাপকদের হাতে তুলে দেন প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা লেখক শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কবি তথা লেখক তথা সম্পাদক এবং অধ্যাপক সুবোধ সরকার এবং এস সি কমিউনিকেশনের মূল কাণ্ডারি সঙ্গীতা চক্রবর্তী।