হায়দ্রাবাদের ঘটনায় গোটা দেশ বোবা হয়ে গিয়েছিল, সেই আকস্মিকতার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর পর ই বিভিন্ন সূত্র থেকে মহিলাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে বিভিন্ন সংস্থা থেকে শুরু করে আমার-আপনার নিজের জন ও। গঠিত হয় বেশ কিছু গ্রূপ, শেয়ার হয় বেশ কিছু মোবাইল নাম্বার। মহিলাদের সরকারিভাবে সুরক্ষা দেওয়ার যে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে ফেটে পড়ে দেশের আম জনতা। আজ শুক্রবার ভোরে এনকাউন্টারে অভিযুক্তদের নিধন করে পুলিশ যথেষ্ট শান্তি দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। তার পাশাপাশি আরও একটা বিষয়ে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা উল্লেখ্য।
বর্তমান পরিস্থিতির ওপর বিচার করে দেশের প্রতিটি থানায় উইমেন হেল্প ডেস্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই জন্য প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নির্ভয়া তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে। কখনও কোনও অভিযোগ নিয়ে যখন মহিলারা থানায় আসেন, তখন তৎপরতার সঙ্গে তাদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ দেখানো হয়না। ওই ঘটনার দিনও নির্যাতিতার বোন বিপদের ইঙ্গিত পেয়ে থানায় গেলে শুরুতে কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে থানার বিরুদ্ধে। তাঁকে এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘোরানো হয়। তার পেছনে সময় নষ্ট হয় প্রায় দু-তিন ঘন্টা। আগামী দিনেও যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য থানায় থানায় মহিলা হেল্প ডেস্ক গঠনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রকল্প রূপায়িত হবে।
উক্ত হেল্প ডেস্কগুলিতে মহিলাদের বিষয়ে যাতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। উইমেন হেল্প ডেস্কের আধিকারিকদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই ডেস্কে মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়াও প্যানেলে থাকবেন আইনজীবী, মনোস্তত্ববিদ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। থানায় যে সমস্ত মহিলারা সাহায্য চাইতে আসবেন, তাদের অন্য বিষয়ের পাশাপাশি আইনি সহায়তা, কাউন্সেলিং, আশ্রয়, পুনর্বাসন এবং প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করে দেওয়াই হবে উক্ত হেল্প ডেস্কগুলির উদ্দ্যেশ্য। যাতে মহিলাদের জন্য তৈরী করা ডেস্কের কাছ থেকে তাঁরা নিজেদের সুরক্ষিত ভাবতে পারেন।