যে কোনও বিপর্যয় এবং জরুরী অবস্থায় পুরুষদের থেকে নারীদের মানসিক তৎপরতা অনেক বেশি। এমনকি বিপর্যয়ের আভাসও তারা আগে থেকে পেতে শুরু করে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মালিশা ভিলারিয়েল জানিয়েছেন, ‘ মেয়েদের নিজেকে প্রকাশ করতে গেলে হাজার এক বাধার মুখে পড়তে হয়। তাদের সামনে যে দেওয়ালগুলো থাকে তা ভাঙা সহজ নয়। বিপর্যয় মোকাবিলায় নারীদের যে ক্ষমতা তা আড়ালেই থেকে যায়।’
টেক্সাসের দুটি শহরে ৩৫ জন মহিলা এবং ১০ জন পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্ঘটনা এবং বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এরকম মানুষদের বেছে নেওয়া হয়।
২০১৩ তে টর্নেডো আছড়ে পড়েছিল। ৪ জনের মৃত্যু হয়। গৃহহীন হয় প্রায় ৬০০ মানুষ। দক্ষিণ আমেরিকার এক সার কারখানায় দুর্ঘটনার কবলে প্রায় ১৫ জন মারা যায়। ১০০ মানুষ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘটনার একবছর পর ওইসব সেই অঞ্চলের মানুষদের জানতে চাওয়া হয় বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতার কথা। কেমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল, কীভাবেই তারা বিপর্যয় সামলে উঠল এই সমস্ত কিছুই ছিল গবেষকদের প্রশ্নের তালিকায়। যদিও ঘটনা, স্থান এবং প্রেক্ষিত আলাদা ছিল। তাতে দেখা যায় বেশিরভাগ পরিস্থিতিতেই পরিবারকে বিপদের হাত থেকে বের করে আনতে নারীরা অনেক বেশি তৎপরতা দেখিয়েছে। তারা অনেক বেশি ক্ষিপ্র এবং কৌশলী।
আগাম বিপদের আঁচ পাওয়ার একটা স্বাভাবিক ক্ষমতা নারীদের থাকে। নিজেদের চারপাশের মানুষ বা প্রিয়জনের জীবনে কী ঘটতে চলেছে অনেকটাই আগে থেকে আন্দাজ করতে পারে তারা। এবং সেই বিপর্যয় থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব সেই ভাবনা শুরু করে। পুরুষরা বিপদ আঁচ করতে পারে। কিন্তু বিপদ আটকাবার প্রক্রিয়ায় মেয়ে অনেক বেশি তৎপর।
নারীদের এই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রবণতা কিন্তু সেভাবে গুরুত্ব পায় না। সমাজ এবং পরিবারে পুরুষ প্রাধান্যের কারণে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা উপেক্ষিত থেকে যায়।
তাদের ঘরের কাজ আর চার দেওয়ালে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়।
রিসার্চ বলছে নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পুরুষদের চেয়ে অনেক সূক্ষ এবং বাস্তব সম্মত।