তখন মেয়েরা ‘সিনেমায় নামত’। মানে পর্দার দুনিয়ায় পা রাখলেই লোকের বাঁকা চোখের শিকার। লজ্জা, ভয়, কুণ্ঠা পেরিয়ে সে জগতে এসে পড়লেও কাঁটার পথ শেষ হয়ে যায় না।
‘অ্যাক্টো’ করা মেয়ে! পরিবার পরিজন কেউ ছেড়ে কথা বলে না। তার ওপর পুরুষ আধিপত্য। মুখ বুজে মেনে চলাই দস্তুর। এমন পরিস্থিতির তল আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আন্দাজ করা কঠিন। তবুও অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসার টান। মঞ্চ থেকে পর্দা কস্তুরী গন্ধের মতো আচ্ছন্ন করে ছিল ওঁদের।
স্বাধীনতা, দেশভাগ, আগুনে সময় পার করতে ক্যামেরার দুনিয়াই হয়ে উঠেছিল অঁদের আশ্র্য। কখনও বা নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার লড়াই। রাজলক্ষ্মী দেবী থেকে কানন দেবী, সুচিত্রা সেন থেকে সাবিত্রী-লড়াইগুলো প্রায় একই।
পরিসর ভেদে কখনও কখনও অন্যখাতে বয়েছে। তাতে পুরো ছবিটা বদলে যায় না। শব্দগুলো একই। বাধা, বৈষম্য আর সমাজ। থেমে থাকেননি ওঁরা। তাই থেমে থাকেনি সিনেমাও। বাধার পাহাড় ভেঙে এগিয়ে চলার লড়াইটা চলছেই।
মেধায়-মনন-যোগ্যতায় সমান অধিকারের লড়াই...