হরমোনজনিত সমস্যার কারণে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম গজানোর সমস্যায় ভোগেন অনেকেই| কিন্তু মুখের মধ্যে মাড়ির ফাঁকে লোম গজিয়ে ওঠার ঘটনাটি সম্প্রতি সংবাদের শিরোনামে আসায় বিস্মিত অনেকেই| কারণ এই বিরল রোগটি গোটা বিশ্বে আর মাত্র পাঁচজনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল|তাঁরা সকলেই পুরুষ | আর এই মুহুর্তে মাড়িতে লোম গজিয়ে ওঠার মত বিরল এক রোগে আক্রান্ত ২৫ বছরের ইটালির যুবতী।
হঠাত করে দেখলে মনে হবে মুখের মধ্যে চোখের পাতা আটকে রয়েছে| অদ্ভুত রোগটি অবাক করেছে চিকিৎসকদেরও| দশ বছর আগে ২০০৯ সালে প্রথমবার চিবুকে, গলায় ও মুখের ভিতরে লোম গজানো টের পান ওই যুবতী। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫| চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। সঙ্গে দোসর ডিম্বাশয়ে একাধিক সিস্টের উপস্থিতি।ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম পলিসিস্টিক ওভারি| চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, হরমোনের আধিক্যর জন্য তাঁর শরীরে লোমের উপস্থিতি বেশি| হরমোন থেরাপি করে সে যাত্রায় লোমের বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করা হয়|কিন্তু সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি| কিন্তু মাঝপথে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিতেই বিপত্তি আরও বাড়ে|
আবার চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়েছে ওই যুবতীকে| রোগীর মেডিকেল হিস্ট্রি জানার পর এবার মাড়ির লোমের সঙ্গে সেখানকার কোষ ও পরীক্ষার জন্য তুলে আনা হয়| মাইক্রোস্কোপের নিচে চোখ রাখতেই আঁতকে ওঠেন চিকিৎসকরা। এবারের গজিয়ে ওঠা চুলের সংখ্যা এবং ধরন আগের চেয়ে একেবারে অন্যরকম। গবেষকরা বলেছিলেন ভ্রূণ অবস্থায় থাকার সময় মুখের অভ্যন্তরের টিস্যুগুলির যেখান থেকে উত্পত্তি, আমাদের ত্বক তৈরি করা টিস্যুগুলিও এগুলি একই জায়গা থেকে তৈরি হয়। তবে ওই যুবতী পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন কিনা যা জানা যায়নি|