কলকাতার পাশাপাশি এবার শহরতলিগুলিতেও চালু হল ‘শাটল্’ পরিষেবা। উত্তরপাড়া কোতরং পৌরসভা কর্তৃক এই অভিনব উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। কলকাতার সহযোগী হিসেবে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’ শীর্ষক এক পথ নিরাপত্তামূলক অনুষ্ঠান মারফত উদ্যোগটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়। এম.এল.এ প্রবীর ঘোষাল উত্তরপাড়ায় তিনটি নতুন ‘শাটল্’ উদ্বোধন করে প্রকল্পটির সূচনা করেন। উত্তরপাড়া কোতরং অঞ্চলগুলিতে এই পরিষেবা গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।
দিন দিন পথ দুর্ঘটনার হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা রুখতেই দিকে দিকে সচেতনতামূলক অভিযান শুরু করতে চাইছেন তারা। নাগরিক ও চালকদের সচেতন করতে ও তাদের ট্রাফিক আইন সম্বন্ধে বার্তা দিতে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক অথোরিটির সাথে জোট বেঁধেছে এই সংস্থা।
উত্তরপাড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “পথ দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি একটি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে। সমস্ত পথ ব্যবহারকারী মানুষকে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে সকলকে এই বার্তা প্রেরণ করা যে, শহরের সমস্ত রাস্তা সকল নাগরিকের জন্য সুরক্ষিত। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’ কর্মসূচিতে ‘শাটল্’কে পাশে পেয়ে আমরা ভীষণভাবে গর্বিত।“
“পথ দুর্ঘটনা দেশে অপঘাতে মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। দায়িত্ববান সংস্থা হিসেবে শাটল্-এ পথ নিরপত্তার উপর আমরা বেশী করে জোর দিচ্ছি। এ বিষয়ে আমাদের চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। ট্র্যাফিক আইন না মানার ফলে বেশীরভাগ পথ দুর্ঘটনাগুলি ঘটে থাকে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে দৃষ্টিপাত করতে আমরা মানুষদের উৎসাহিত করতে চাইছি। উত্তরপাড়া কোতরং মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা সন্মানিত বোধ করছি। সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি রাস্তার মোড়ে প্ল্যাকার্ড বা ব্যানার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে,” জানালেন ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি ফর শাটল্-এর সহ সভাপতি বীর সিং।
ট্র্যাফিক পুলিশদের কথা মাথায় রেখে তাদের রেইনকোট ও এয়ার পলিউশান মাস্ক প্রদান করার পরিকল্পনায় রয়েছে এই সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গ ট্র্যাফিক পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত একটি তথ্য বলছে, প্রতিবছর প্রায় ১৪,০০০ পথ দুর্ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৭০০০ রিপোর্ট মৃত্যুসংবাদ বহন করে। অন্যদিকে, WHO সংস্থার একটি রিপোর্ট বলছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তালিকায় ভারতের স্থান একেবারে শীর্ষে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে নয়া বার্তা দিতে চলেছে ‘শাটল্’ সংস্থা। নাগরিক সচেতন হলে তবেই কমবে মৃত্যুর হার, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।