এই শীতে বাচ্চাদের খাবারের তালিকায় কি রাখা উচিত?

এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে গিয়েছে শীতের পারদ। আবার মাঝে মাঝে বেড়েও যাচ্ছে তাপমাত্রা। এই মনে হচ্ছে ঠাণ্ডা একটি কম আছে বাড়তি সোয়েটার লাগবে না, আবার কাঁপতে হচ্ছে হি-হি ঠাণ্ডায়। ব্যাপারটায় সাময়িক মজা থাকলেও বিপদের মুখে পড়ছে স্বাস্থ্য। বিশেষ করে শিশুরা। এই সময় এমনিতেই সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শিশুরা সমস্যার সম্মুখীন হয় বেশি। তাই এই সময় তাদের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। শীতের সময় বাতাসে অনেক জীবাণু বেশি থাকে। বিশেষ করে ভাইরাস বেশি থাকে যা শ্বাস নালীর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মামসের মতো রোগের সৃষ্টি করে। শীতে  বাতাসও অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। ফলে ইনহেলেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। এছাড়া ধূলো থেকেও সংক্রমণ হয়। তাই ঠাণ্ডা যাতে না লাগে সেই খেয়াল যেমন রাখা দরকার তার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকেও নজর রাখতে হবে। শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য তাদের উপকারী খাবার খাওয়া দরকার। সেই জন্য শীতের মরসুমে স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকা দেওয়া হল এই নিবন্ধে।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার: মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। তাই শীতের মরসুমে শিশুদের ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ানো খুব জরুরি। কমলালেবু, পালংশাক, আলু, ব্রকোলি, কিউই, বেরি মতো শীতকালীন ফল ও শাক-সবজির মধ্যে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

প্রোটিন জাতীয় খাবার: শীতের মরসুমে সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবারও খুব প্রয়োজনীয়। যদিও বহু মানুষ এখন নিজের ডায়েট চার্টে এই ধরনের খাবার রাখতে চান না। কিন্তু তাও শীতের মরসুমে শিশুদের জন্য এই খাবার খাওয়া উচিত। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ছাড়াও বেশি কিছু সবজিতে প্রোটিন পাওয়া যায়।

ফাইবার জাতীয় খাবার: ফাইবার জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাই শিশুদের শরীরের ক্যালোরির ভারসাম্য রক্ষা করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। শীতের স্কোয়াশ, বেদানা, পেঁয়াজ, মিষ্টি আলু, নাশপাতি, বাজরা ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়।

ওমেগো-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: শীতে এমনিতেই সকলের ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। যে কারণে ত্বকে নানা সমস্যাও দেখা দেয়। তাই শীতে শিশুদের ত্বকের সমস্যা আটকাতে এই ওমেগো-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার খাওয়া খুব জরুরি। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ানোর পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা ও হাঁপানির উপসর্গ দেখা দেবে এই ধরনের খাবার খেলে। বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন- স্যালমন, টুনা ও উদ্ভিজ্জ খাবার যেমন- চিয়া সিড, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, ব্রাসেল স্পাউট ইত্যাদি খাবার।

ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার: শীতকালে শিশুদের ঠান্ডা লাগা, জ্বর, কাশি জাতীয় সমস্যা দেখা দেবে এই ধরনের খাবার খেলে। খেজুর দুধ ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...