শীতকালে মাছ দিয়ে যত রকম রান্না করা যায় আর কোনও কালে বোধহয় হয় না। পুকুরের মাছ হোক বা সমুদ্রের মাছ মাছের পদ নিয়ে নানা রকম রান্নার পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলতেই থাকে গোটা শীত জুড়ে। এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলাতেই। আজ দুই পারের দুই রেসিপি থাকল নিবন্ধে।
কচুমুখী দিয়ে লইট্টা
কী কী লাগবে
কচুমুখী ২৫০ গ্রাম
লইট্টা মাছ ২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজবাটা আধ কাপ
রসুনবাটা ১ চা-চামচ
লেবুর রস ২ চা-চামচ
মরিচগুঁড়ো ২ চা-চামচ
হলুদগুঁড়ো ১ চা-চামচ
নুন স্বাদমতো
সর্ষের তেল আধ কাপ
কীভাবে রাঁধবেন
কচুমুখী ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। লেবুর রস মেখে, ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। লইট্টা মাছ ধুয়ে নিন। জল ঝরিয়ে নুন-হলুদ-লঙ্কাগুঁড়ো আর সরষের তেল দিয়ে মেখে রাখুন। প্যানে তেল দিয়ে দিন। বাকি সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। কচুমুখীও নুন দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। প্রয়োজনমতো জল দিন। কচুমুখী কিছুটা সেদ্ধ হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে দিন। লইট্টা মাছ দিয়ে ঢেকে রাখুন। মাখো মাখো হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
শিমের বীজ চিংড়ি মাছ
শিমের বীজকে ওপার বাংলায় খাইস্যা বলা হয়। শীত একটু পুরনো হলে এই রান্না বেশি ভাল জমে। শিমের বীজ বাজারে খোলা কিনতে পাওয়া যায়।
কী কী লাগবে
শিমের বিচি ২৫০ গ্রাম(সামান্য নুন দিয়ে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে)
চিংড়ি মাছ মাঝারি আকারের ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজকুচি আধ কাপ
রসুনকুচি ১ চা–চামচ
টমেটোকুচি ১ কাপ
কাঁচা লঙ্কাকুচি ৪টি
হলুদগুঁড়ো আধ চা–চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ২ চা–চামচ
সর্ষের তেল আধ কাপ
ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ
নুন স্বাদমতো
কীভাবে রাঁধবেন
চিংড়ি মাছে সামান্য হলুদ ও নুন দিয়ে মেখে হালকা ভেজে রাখুন। একই তেলে পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে বাকি সব মসলা দিন। এবার ভালোভাবে কষিয়ে সেদ্ধ করে রাখা শিমের বিচি ও স্বাদমতো নুন দিয়ে নেড়ে পরিমাণমতো ঞ্জলদিন। জল কিছুটা শুকিয়ে এলে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ ও ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।