শীতকালে বড়ো মাছের থেকে অনেক বেশি ভাল লাগে ছোট মাছের স্বাদ। বাঙালি রান্নাঘরের একেবারে নিজস্ব সম্পদ, ছোট মাছের পদ। সেরকম তিন মাছের রেসিপি দেওয়া হল এই নিবন্ধে
মাছ মাখা
মাছ অনেকসময় বেশি ভাজা হয়ে গেলে বা ফ্রিজে বেশিদিন রেখে দিলে শক্ত হয়ে যায়। সেই মাছ দিয়ে রান্না করা হয় এই পদ। রুই-কাতলার মতো বড়ো মাছ থেকে শুরু করে মাঝারি বা বড় মাছ দিয়ে তৈরী হয় এই পদ।
কী কী লাগবে
পছন্দ মতো মাছ- ৫০০ গ্রাম (কাঁটা ও মাথা বাদ দিয়ে)
সরষের তেল- ১ কাপ
শুকনো লঙ্কা- ২ গোটা
কাঁচা লঙ্কা-
পেঁয়াজ-
টমেটো-
ধনেপাতা-
লেবুর রস
কীভাবে করবেন
কড়াই গরম হলে একটু বেশি করে সরষের তেল দিন। শুকনো লঙ্কা ওই তেলে ভেজে তুলে রাখুন বাটিতে।গুঁড়িয়ে নিন। এবার সেই তেলে সমস্ত মাছ কড়কড়ে করে ভাজুন। ঠাণ্ডা হলে হাত দিয়ে ভেঙে নিন। কাঁচা সরষের তেল(২ চামচ), পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, টমেটো একেবারে ছোট ছোট করে কাটুন। এবার ভাঙা মাছের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। সঙ্গে দিন শুকনো লঙ্কা, নুন, ধনেপাতা কুচো আর লেবুর রস। ভাতের সঙ্গে একেবারে শুরুতেই এই পদ ভীষণ ভাল লাগে।
চিংড়ি দিয়ে পুঁই মেটুলি
শীতের বাজারে পুঁই মেটুলির দেখা মেলে। অন্য নামে ‘পুঁই মেচুড়ি’। বছরের খুব কম দিনের জন্য দেখা পাওয়া যায় তার। সবুজ পাকা পুঁই মেটুলি বাংলার হেঁশেলের নিজস্ব স্বাদ।
কী কী লাগে
পুঁই মেটুলি - ৩০০ গ্রাম
ছোট চিংড়ি- ২৫০ গ্রাম
বেগুন-
মূলো-
আলু-
কুমড়ো
পেঁয়াজ-
আদা-
পাঁচফোড়ন-
জিরে গুঁড়ো-
লাল লঙ্কা গুঁড়ো-
হলুদ গুঁড়ো-
শুকনো লঙ্কা-
তেজপাতা-
নুন
চিনি
কীভাবে রাঁধবেন
পুঁই মেটুলি বেছে ধুয়ে নিন। সমস্ত সবজি ছোট করে কাটুন। মাছ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নুন আর হলুদ মাখিয়ে রাখুন। হালকা করে ভেজে নিন। কড়াইয়ের তেলে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, পাঁচ ফোড়ন দিন। ফোড়নের গন্ধ বেরতে শুরু করলে তারপর সমস্ত সবজি আর পুঁই মেটুলি দিয়ে চাপা দিয়ে দিন। নুন দেবেন। জল বেরতে শুরু করলে হলুদ-লঙ্কা-জিরে গুঁড়ো দিয়ে নাড়ুন। সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে চিংড়ি দিন। নুন-মিষ্টি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। আর কিচ্ছু লাগবে না!
আমুদি মাছের ঝাল
আমুদি মাছ মূলত শীতের মাছ। হালকা হলুদ রঙের মাছ, বাজারে বেশ সহজলভ্য। অনেকে ভাজা খান। কিন্তু এই মাছের ঝাল দারুণ!
কী কী লাগবে
আমুদি মাছ- ৩০০ গ্রাম
পেঁয়াজ বাটা- ২ টো পেঁয়াজ
শুকনো লঙ্কা-রসুন বাটা- ২ শুকনো লঙ্কা, ৬ কোয়া রসুন
টমেটো বাটা- ১ মাঝারি গোটা
সরষের তেল- ১ কাপ
হলুদ বাটা- পরিমান মতো
নুন- স্বাদ মতো
কীভাবে করবেন
প্যানে তেল গরম করে মাছ শুকনো করে ভেজে নিন। এবার তেলে বাটা পেঁয়াজ দিন। ভাজা হয়ে এলে বাটা টমেটো, সমস্ত বাটা মশলা নুন দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে সামান্য গরম জল দিন। ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে ঢাকা দিন। জল শুকিয়ে এলে এক চামচ কাঁচা সরষের তেল ওপরে ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। নুন বুঝে দেবেন। এই মাছে ঈষৎ নোনতা ভাব থাকে।