শীত পড়তে শুরু করেছে। মরসুম বদলের এই সময়টায় নানারকম রোগের প্রকোপ বাড়ে। জ্বর, সর্দি, কাশি, ফ্লু কমবেশি সকলকেই ভোগায়। শীতের বড় সমস্যা নিউমোনিয়া। শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়।নিউমোনিয়ার জীবাণু মানুষের ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। নিউমোনিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল ফুসফুসে ‘স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি’ নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। শীতে কমতে থাকা তাপমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
লক্ষণ
নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর আর অনর্গল শুকনো কাশি। কাশির সঙ্গে রক্তও আসে অনেক সময়। একে বলে হিমস্টিসিস। ফুসফুসে সংক্রমণ যত ছড়ায় তত শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। নিঃশ্বাস নিতে অসম্ভব কষ্ট, সঙ্গে বুকে ব্যথা। নিউমোনিয়ায় বুকে ব্যথার ধরন হয় আলাদা। শরীরে অসম্ভব ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বমিভাব থাকে। খাবার ইচ্ছে একেবারে চলে যায়। গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে বয়স্কদের মধ্যে ডিলিরায়ম দেখা দিতে পারে।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের ওপর যাদের বয়স তাদের এই রোগে ঝুঁকি বেশি। কিডনি, হার্ট, ফুসফুস এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে নিউমোনিয়ার ধরন, তীব্রতার ওপর। সঠিক চিকিৎসায় ৩ সপ্তাহের মধ্যে উপশম হতে শুরু করে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আনন্দলোক হসপিটালের পালমোলজি বিভাগে বিশেষজ্ঞ পালমোলজিস্ট আছেন ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসার জন্য। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য পাবেন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং হেল্পলাইনে।