জমে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দ্বিতীয় গ্রুপে শেষ চারে যাওয়ার কঠিন লড়াই বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সামনে। বিশ্বকাপে জয় দিয়েই শুরু করেছে ভারত। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যাশা মতোই বৃহস্পতিবার ডাচদের বিরুদ্ধে জয়ের পর চার পয়েন্ট নিয়ে গ্ৰুপ তালিকার শীর্ষে এখন ভারত।
আজ ভারত বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে গ্ৰুপ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় এলেও প্রতিবেশী দেশ জিম্বাবয়ের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। আপাতত প্রোটিয়াদের সংগ্রহ এক তিন পয়েন্ট।
অক্টবরের শুরুতেই ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বিশ্বকাপে নেট রানরেটের বিচারে অনেকটা এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের নেট রানরেট +১.৪২৫। দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রানরেট +৫.২০০। তাই গ্রুপ শীর্ষে থাকলেও নিশ্চিন্তে থাকার জায়গা নেই ভারতের। শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে যেতে হলে রবিবারের ম্যাচ জিততেই হবে রোহিতদের। ভারতও চাইবে কালই নিজেদের জায়গা পাকা করতে। অন্য দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা হারলে লাভ পাকিস্তানের। সে ক্ষেত্রে তাদের একটা সুযোগ তৈরি হবে শেষ চারে যাওয়ার। তাই এই ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পার্থে কাগিসো রাবাডা, অনরিখ নোখিয়াদের সামনে নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। তবে সুনীল গাওস্করের মতে দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, ভারতের আসল প্রতিপক্ষ হতে চলেছে অন্য দল। তারা হল জ়িম্বাবোয়ে। যে ভাবে পাকিস্তানকে শেষ মুহূর্তে হারিয়েছে তারা, তাতে ৬ নভেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করে রয়েছে বলে মনে করছেন গাভাস্কার।
ভারতের প্রাক্তন ওপেনারের কথায়, “জ়িম্বাবোয়ে দারুণ লড়াই করে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। তাই ভারতকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পাকিস্তানকে হারানোর পর জ়িম্বাবোয়ে কিন্তু অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে।” পড়শি দেশ সম্পর্কে গাওস্কর বলেছেন, “পাকিস্তানকে শেষ তিনটে ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিততে হবে। কাজটা সহজ নয়। কারণ ওদের সামনে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতকেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।”
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের হারের মধ্যে কোনও অঘটন নেই বলেই মনে করছেন গাভাস্কার। তাঁর কথায়, “টি-টোয়েন্টিতে যা খুশি হতে পারে। আমার মনে হয় না পাকিস্তান খুব একটা খারাপ দল। ওদের অনেক ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। যেমন ভাল বোলার রয়েছে, তেমনই ভাল ব্যাটার। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় দরকারের সময়ে কেউই জ্বলে উঠতে পারেনি।”
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলীর বিরাট ইনিংসে ভর করেই জয় আসে ভরতের। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও অর্ধশত রান করেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রানে ফিরেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও সূর্য কুমার যাদবও। রাহুল আউট হলেন ৯ রানে। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক অবশ্য আউট ছিলেন না। আম্পায়ার আউট দিলেও অধিনায়ক রোহিতের পরামর্শে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল।
ভারতীয় ইনিংসের প্রথম কয়েক ওভার তেমন রান ওঠেনি। আট-নয় ওভার থেকে হাত খুলতে শুরু করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। মন্থর উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। রোহিত, কোহলিরা চেনা মেজাজে ব্যাট করলেন। রোহিত করলেন ৩৯ বলে ৫৩ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে মেজাজে ছিলেন, সিডনিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও সেই মেজাজে দেখা গেল প্রাক্তন অধিনায়ককে। এই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন কোহলি। ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে মারলেন তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা। প্রতিপক্ষ তুলনায় দুর্বল হলেও কোহলির চোখে-মুখে ছিল চেনা সংকল্পের ছাপ। রোহিত আউট হওয়ার পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। প্রত্যাশা মতো প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করলেন সূর্যকুমার। তিনি নামার পর বেশ খানিকটা বাড়ল ভারতের রান তোলার গতিও। সূর্যকুমারও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে। সাতটি চার এবং একটি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস।
‘অভুক্ত’ রোহিত শর্মারাও যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা টের পেল নেদারল্যান্ডস। গত মঙ্গলবার অনুশীলনের পর খাবার ‘অযোগ্য’ এবং ‘অপর্যাপ্ত’ মধ্যহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সিডনির আয়োজকদের পক্ষে। না খেয়েই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রোহিত, কোহলিরা। তাতেও যে ভারতকে দমানো যায় না, তা মাঠে নেমে প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে যায়নি ভারতীয় দল। পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন করেনি। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি রাহুল দ্রাবিড়রা।
নেদারল্যান্ডস ম্যাচের নায়ক সূর্য বলেন, ‘‘আমি যখন ব্যাট করতে যাই, তখন কোহলি আমাকে বলে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে। পিচের কথা না ভাবতে। তাই আমি নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলেছি। বল অনুযায়ী শট খেলেছি।’’
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কিউইদের প্রাক্তন ব্যাটার রস টেলর বেছে ছিলেন পাঁচ ব্যাটারকে যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজর কাড়তে পারেন। সেই তালিকায় রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলি জায়গা পাননি। পেয়েছিলেন সূর্য। টেলরের মতে ভারতের সূর্যকুমার যাদবের দিকে নজর থাকবে।
নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করতেন টেলর। তিনি বলেছিলেন, “নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চার নম্বরে ব্যাট করা মোটেই সহজ নয়। লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির পর নেমে সেটাই করে সূর্যকুমার যাদব। যে ভাবে নিজের খেলা এগিয়ে নিয়ে যায় তাতেই বোঝা যায় কতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলে ও। রান নেই এমন ইনিংস খুব কম ওর। টি-টোয়েন্টিতে আমার মনে হয় চার এবং পাঁচ নম্বরে ব্যাট করা সব থেকে কঠিন। হয়তো ১০ রানে ২ উইকেট পড়েছে, এমন অবস্থায় ব্যাট করতে হতে পারে। এমন অবস্থায় পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারালে ম্যাচটাই বেরিয়ে যেতে পারে হাত থেকে। কখন ধরে খেলব, কখন ঝুঁকি নেব, সেটা বুঝে খেলতে হয়। সূর্য এই কাজটা খুব ভাল করে। অস্ট্রেলিয়ায় আশা করি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সেটা ভালই করবে সূর্য।”
শেষ ম্যাচে অর্ধশতরানের জন্য কোহলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সূর্য। তাঁর মতে, কোহলি থাকায় ব্যাট করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। সূর্য বলেছেন, ‘‘কোহলি দুর্দান্ত ব্যাট করছিল। ও থাকায় আমার চাপ কমে গিয়েছিল। ঠান্ডা মাথায় নিজের খেলা খেলেছি। কোহলির সঙ্গে খেলতে আমি খুব ভালবাসি। এই ম্যাচেও খুব ভাল জুটি হয়েছে আমাদের। পরিবারের সামনে অর্ধশতরান করতে পেরে আরও ভাল লাগছে।’’
অর্ধশতরান করলেও এই পিচে ব্যাট করা সহজ নয় বলেই জানিয়েছেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার। সূর্য বলেছেন, ‘‘পিচে দু’রকমের গতি রয়েছে। কোনও বল তাড়াতাড়ি আসছে। কোনও বল আবার একটু থেমে আসছে। তাই সব বলে বড় শট খেলা যাবে না। এই উইকেটে আমরা অনেক রান করেছি।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সিডনির একই উইকেটে হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পর দু’ম্যাচ। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর ভারতের ম্যাচের প্রথম থেকেই মন্থর হয়ে যায় ২২ গজ। ফলে ২০ ওভারের ক্রিকেটের প্রত্যাশিত ছন্দে শুরু করতে পারেননি রোহিত, লোকেশ রাহুলরা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দলের কোচিং টিমের সদস্য মামব্রে বলেছেন, “ হার্দিক আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ব্যাট-বল দুটোই ভাল করে করছে। তার থেকেও বড় ব্যাপার, মাঠে ওর ইতিবাচক মানসিকতা তফাত গড়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচেই সেটা দেখেছি। বিরাট সেই ম্যাচে ফিনিশ করল ঠিকই। কিন্তু হার্দিকেরও প্রশংসা প্রাপ্য। কারণ ও অনেকটা সময় ধরে বিরাটের সঙ্গ দিয়েছে। চারটে উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যে সময় ও খেলতে নেমেছিল, তখন পরিস্থিতি সহজ ছিল না। নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দলকে জিতিয়েছে হার্দিক।”
দলের আর এক নবাগত ক্রিকেটার আরশদীপ সিংহের উপর বিরক্ত ভুবনেশ্বর কুমার। হয়তো বা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিও। পাকিস্তান ম্যাচের কথা তুলে ধরে মজা করে ভুবনেশ্বর বলেছেন, ‘‘ভাবিইনি বল অতটা সুইং করবে। আমি এবং আরশদীপ দু’জনে একে অপরকে সাহায্য করছিলাম। নিজের বোলিং নিয়ে খুশি। আরশদীপ তো অভিষেক ম্যাচ থেকেই দারুণ বোলিং করছে। ও ম্যাচের আগে বার বার জিজ্ঞাসা করে পিচ কেমন এবং ব্যাটাররা কী ধরনের শট খেলতে পারে। রোহিত, আমি, বিরাট, কেউ ওর প্রশ্নের হাত থেকে রেহাই পাই না। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। অনেক ভাল বোলিং করছে।”
যশপ্রীত বুমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর অনেকেই আশঙ্কায় ছিলেন প্রতিযোগিতায় ভারতের সম্ভাবনা নিয়ে। কিন্তু দু’টি ম্যাচেই ভারতের বোলাররা দারুণ বল করেছেন। যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা ছিল, সেই ভুবনেশ্বরও মাতিয়ে দিচ্ছেন। পাকিস্তান ম্যাচে মহম্মদ রিজ়ওয়ানকে সুইং করিয়ে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম দু’টি ওভারে মেডেন এসেছে।
ভুবনেশ্বর জানালেন, বুমরার অভাব তাঁরা বোধ করছেন না। তাঁর কথায়, “বুমরার মতো বোলারের ছিটকে যাওয়া বড় ক্ষতি ঠিকই। কিন্তু ও না থাকায় আমাদের অতিরিক্ত কোনও চেষ্টা করতে হচ্ছে না। যদি অতিরিক্ত কিছু করতেই হত, তা হলে বুমরা থাকলেও করতে হত। আমরা জানি আমাদের শক্তি কী। সেটাকেই কাজে লাগাচ্ছি।”
এশিয়া কাপে ডেথ ওভারে বোলিং নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে ভুবিকে। তিনি অবশ্য সে সবে পাত্তা দিচ্ছেন না। বলেছেন, “এত বছরে এক বারই আমার ছন্দ খারাপ হয়েছিল। ব্যস, ওটা নিয়ে আর মাথা ঘামাতে চাই না। সংবাদমাধ্যম এবং ধারাভাষ্যকাররা অনেক কিছুই বলবেন। তবে দল হিসাবে আমরা জানি, সবারই উত্থান-পতন থাকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এমনিতেই বোলারদের জন্য কঠিন। তার উপর এশিয়া কাপের মতো বড় প্রতিযোগিতায় এমনিতেই মানুষের নজর আপনার উপরে বেশি থাকবে।”
সমাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকার কারণেও অনেক উপকৃত হয়েছেন, মানছেন ভুবি। বলেছেন, “বিশ্বকাপের সময় আমি নিজেকে সম্পূর্ণ সমাজমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে চাই। বাইরে কী লেখা হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। আসলে সমাজমাধ্যম থেকে আমাদের মনে নেতিবাচক ভাবনা আসে।”
রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পার্থে খেলতে নামবে ভারত। এখানেই তাদের শিবির হয়েছিল বিশ্বকাপের আগে। ফলে মাঠ ভালই চেনা ভুবিদের। বলেছেন, “পার্থে যথেষ্ট ভাল প্রস্তুতি হয়েছে। দল বদলের পর এখন আমাদের কৌশলও বদলে যাবে। সে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি । প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাকিস্তানের কাছে হারলে প্রত্যাবর্তন কঠিন হয়ে যেত।”
প্রোটিয়ররা কোনও দিন বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এক দিনের বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এলেই তাই আলোচনা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে। শুরু হয় কাটাছেঁড়া। শক্তিশালী দল হয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না আফ্রিকার দেশটি। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা তাদের পেস আক্রমণ। কাগিসো রাবাডা, লুনগি এনগিডি, অনরিখ নখিয়ার মতো পেসার রয়েছেন দলে। স্পিন বিভাগ সামলাচ্ছেন তাবরেজ শামসি, কেশব মহারাজরা।
চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নেই রাসি ভ্যান ডার ডুসেন এবং ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। মূল দলে জায়গা করে নিয়েছেন মার্কো জানসেন। ব্যাট হাতে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কুইন্টন ডি’কক, রিজা হেনড্রিক্স, এডেন মার্করাম, ডেভিড মিলাররা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছেন রিলি রোসোউ। আটটি ছয় ও সাতটি চারের সাহায্যে ৫৬ বলে ১৯৪.৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১০৯ রান করেন তিনি। রানের মধ্যে আছেন কুইন্টন ডি’ককও। শেষ ম্যাচে অর্ধশত রান ছাড়াও জিম্বাবয়ের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালিয়ে ছিলেন তিনি। বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচে ১৮ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন তিনি।
নিবন্ধকারঃ ঋদ্ধি রিত