বিক্রম ও প্রজ্ঞান কি ফিরবে পৃথিবীতে?

চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েছিলেন ইসরো-র সকল বিজ্ঞানী। এক নিমেষে শেষ হয়ে যায় সব কিছু। কিন্তু এর চার বছর পর ২০২৩ সালের ২৩শে আগস্ট ৬:০৪ মিনিটে ‘বীর’ বিক্রম পা রাখে চাঁদের মাটিতে। এই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্যই অপেক্ষায় ছিল আপামর ভারতবাসী। বিক্রমের সফ্ট ল্যান্ডিং -এর পর ৪ঘন্টা বিশ্রাম নিয়েছে সে। এরপর তার গর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছে প্রজ্ঞান রোভার। প্রজ্ঞানে লাগানো আছে নেভিগেশন ক্যামেরা। সৌরশক্তিতেই গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলছে প্রজ্ঞান। সেকেন্ডে মাত্র একসেন্টিমিটার। আর এগিয়ে চলার সাথে সে পেছনে ফেলে যাচ্ছে অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর লোগো। চাঁদের মাটিতে জল, হাওয়ার পরিমান কম। ফলে সেখানে এই ছাপ নষ্ট হবার সুযোগও কম।বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সম্মিলিত ওজন ১৭৫২ কেজি। শুধুমাত্র প্রজ্ঞানের ওজন ২৬ কেজি।

processed-66765c14-f9d0-4845-8242-08aff9e46415_tA99Vhz9

আগামী এক চন্দ্রদিবস অর্থাৎ ১৪দিন চাঁদের বুকে অনুসন্ধান চালাবে প্রজ্ঞান। কিন্তু তারপর? তারপর কি বিক্রমকে ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে?নাকি রেখে দেওয়া হবে চন্দ্রপৃষ্ঠেই?

বিক্রম আর প্রজ্ঞানকে নিয়ে দীর্ঘসময়ের একটা পরিকল্পনা রয়েছে। এদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখছে ইসরো। আর ইসরোকে সাহায্য করছে নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।

ISRO সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদে ১৪দিন আলো থাকে এবং ১৪দিন থাকে অন্ধকার। অন্ধকার দিনগুলি হয় প্রবল ঠান্ডা। অন্ধকার হলে কাজকর্ম বন্ধ রাখা হবে। অন্ধকার কেটে ফের পরের ১৪ দিন যখন সূর্যের আলো থাকবে চাঁদে, আবারও প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনা হবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের।

প্রচন্ড ঠান্ডা সহ্য করে যদি বিক্রম ও প্রজ্ঞান নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয় তবে আলফা পার্টিকস এক্স রে স্পেকট্রোমিটার পেলোড নামিয়ে চাঁদের মাটি এবং পাথরের উপাদান পরখ করে দেখা হবে। লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ চাঁদের মাটি থেকে রাসায়নিক এবং খনিজ উপাদান টেনে বের করবে, যাতে গবেষণায় সুবিধা হয় বিজ্ঞানীদের।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...