রানিগঞ্জ খনি এলাকায় ডোরাকাটা হায়না হত্যা রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বন দপ্তর। আপাত নিরীহ ও পরিবেশবান্ধব এই পশুকে সংরক্ষণের উদ্দ্যেশ্যে প্রচারমূলক কাজে নেমেছে তারা। এই কাজে যৌথভাবে তাদের সঙ্গে রয়েছে একটি পশু কল্যাণকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ডোরাকাটা হায়না নিশাচর এবং মৃতভোজী প্রাণী। স্থানীয় ভাষায় এরা পরিচিত ‘হুঁড়রা’ নামে। এই প্রজাতির হায়না ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের প্রথম তালিকাভুক্ত। সেই কারণে এদের রক্ষা করা প্রাথমিক দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকরা। কিন্তু সম্প্রতি খনি শিল্পাঞ্চল জুড়ে একাধিক জায়গায় বেশ কিছু ডোরাকাটা হায়নার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
এই অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে চুরুলিয়া, জামুড়িয়া, দুর্গাপুর এলাকা। এই সব অঞ্চলের আশপাশ থেকে এখনও পর্যন্ত চারটি ডোরাকাটা হায়নার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহে আঘাতের চিহ্নও ছিল। বনকর্মীদের একাংশ ও পশুপ্রেমীদের ধারণা, এই হায়নাগুলিকে হত্যা করা হয়েছে। মূলত হায়না মৃতভোজী প্রাণী। কিন্তু খাদ্যের খোঁজে আশেপাশের গ্রামে ঢুকে পড়লে ভয় পেয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে বন দপ্তর।
এরপরই হায়না সংরক্ষণে তৎপর হয়ে ওঠে তারা। ডোরাকাটা হায়না বাঁচাতে বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে তারা।
বন দপ্তরের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া, সামডি ও সগরভাঙ্গা এলাকায় এই প্রজাতির হায়না রয়েছে। চুরুলিয়াতে প্রায় পাঁচটি, সামডিতে দু’টি ডোরাকাটা হায়নার সন্ধান মিলেছে। তবে সগরভাঙায় এর সংখ্যা স্পষ্ট নয়।