কাজের মান উন্নত করতে চাই ন্যাপরুম

আপনি কি কাজের ফাঁকে ঝিমিয়ে নিতে ভাল বাসেন? তার জন্য মাঝে মাঝেই বসের থেকে বকুনি খান?কলিগদের কাছে লজ্জায় পড়েন?

যদি তাই হয়, তাহলে এখন থেকে আর সে জন্য লজ্জায় পড়তে হবে না। আরও বহু মানুষ আছে আপনার দলে। ভারতে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ৮৬ শতাংশ কর্মী অফিসে আলাদা ‘ন্যাপরুম’-এর দাবি জানিয়েছে। তাঁদের মতে কাজ করতে করতে অবসন্ন লাগলে বিশ্রামের প্রয়োজন। যে কারনে কাজের ফাঁকে ‘ব্রেক’ এর প্রয়োজন হয়।

কাজের স্ট্রেসের কারনে ৪৬ শতাংশ কর্মী অনিয়মিত ঘুম, রাত জাগার কারনে সমস্যায় ভোগেন। মনসংযোগে সমস্যা হয়। ওয়ার্কপ্লেসে এনার্জি লেভেলও কম থাকে। সারাদিন ঘুমঘুম ভাব নিয়ে কাজে ম দিতে পারে না। ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।  

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৮০ শতাংশ কর্মী তাদের কর্মক্ষেত্রে এই সমস্যার শিকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘুমের সমস্যা চরিত্রের অলসতা থেকে নয়, কাজের অত্যাধিক চাপের কারনে স্নায়ু ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কর্পোরেট জগতে যারা কাজ করে তাঁদের স্ট্রেস লেভেল সবচেয়ে বেশি।

কাজের টাইম শিডিউল, ওয়ার্ক আওয়ার বদলে যাওয়ার কারনেও ঘুমের প্যাটার্ন বদলে যায়। দিনের পর দিন রাতের শিফটে কাজ করার কারনে ‘বডিক্লক’ বদলে যায়। স্নায়ু, পিঠ, শিরদাঁড়া এবং কোমর ক্ষতিগ্রস্থ হয়।     

কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখতে, এবং কাজের মানকে উন্নত করতে ভারতে গদরেজ, গুগল, এয়ারটেইল, কোককোলার মতো বহুজাতিক সংস্থা ইতিমধ্যেই তাদের কর্মীদের জন্য ‘ন্যাপ রুম’-এর ব্যবস্থা করেছে। অন্যান্য দেশে বহু আগে থেকেই কর্মীদের জন্য ‘ন্যাপরুম’ সিস্টেম আছে। সারাদিনের কাজের মাঝে কবার এনার্জি রিচার্জ করার জন্য ন্যাপরুম দরকারী বন্দোবস্ত। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় ব্যয় করতে পারেন কর্মীরা অফিসের ঘুমের ঘরে।

জায়েন্ট আইটি সংস্থাগুলির মধ্যে গুগল প্রথম ‘ন্যাপরুম’এর ব্যবস্থা করে সেখানকার কর্মীদের জন্য। সঙ্গে গেম রুম, ইয়োগার্ট স্টেশন, ওয়ার্কআউট জোন।

নাসার একটি সমীক্ষায় সম্প্রতি জানা গিয়েছে ২৬ মিনিটের একটা ন্যাপ ব্রেক কর্মীদের কাজের মান ৩৪ থেকে ৫৪ শতাংশ মান উন্নতি ঘটে।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...