চকলেট খেতে পছন্দ করেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। আট থেকে আশি এই জিনিসটি চোখের সামনে দেখলে কেউই লোভ সামলাতে পারেননা। ব্যতিক্রমও অবশ্যই আছে। কিন্তু দেখা যায় কিছু বিশেষ সময়ে আমাদের চকোলেট খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় বা চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। আমরা জানি শরীরে কোনো জিনিসের ঘাটতি হলে সেই জিনিসটি খেতে ইচ্ছে করে। তাহলে কি শরীরে চকোলেটের অভাব হচ্ছে তাই তা খেতে ইচ্ছে হচ্ছে? না তা নয়। আসলে চকোলেটে থাকে এমন কিছু উপাদান যা শরীরের উপকারে লাগে। শরীরে সেইরকম কোনো জিনিসের অভাব হলে আমাদের চকোলেট খেতে হয়ে থাকে।
চকোলেটে থাকে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম। ডার্ক চকোলেট হার্টের জন্য উপকারী তা সকলের জানা। হার্ট ছাড়াও চকোলেট খেলে আসে এক অদ্ভুত শান্তি। কারণ চকোলেটে উপস্থিত সুগার কম্পাউন্ড মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক হরমোন নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে যা একধরণের নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে একটি নার্ভ থেকে অপর নার্ভ বার্তা পৌঁছাতে সাহায্য করে। চকোলেটে থাকে ক্যাফেন এবং থিওব্রোমিন। ক্যাফেন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজক হিসেবে কাজ করে ফলে ক্লান্তির সময় একটু চকোলেট খেতে পারলে ক্লান্তি দূর হয়। থিওব্রোমিনে রয়েছে মুড ইম্প্রুভিং এফেক্ট অর্থাৎ মনমেজাজ ভালো করার এফেক্ট। তাই আমরা যখন ডিপ্রেশনে থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের বার্তা পাঠায় শরীরে এইসব পদার্থের অভাব হয়েছে। তখন আমরা সেইসব জিনিসই শরীরকে দেওয়ার চেষ্টা করি। চকোলেটে থাকে ফ্লাভিনল নামক এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা তাড়াতড়ি বুড়িয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করে এবং এর একবিশেষ ধর্ম রক্তবাহী নালিকাগুলিকে প্রশস্ত করতে সাহায্য করে ফলে শরীরে স্বাস্থ্যকর রক্ত সংবহনতন্ত্র বজায় থাকে।
এছাড়াও চকোলেট অতি মুখরোচক একটি খাবার তাই ছোট থেকে বড় সকলেই ভারী পছন্দ করে এই চকোলেটকে। ডার্ক চকোলেট, মিল্ক চকোলেট, বাদাম মেশানো চকোলেট তাই আজ বাজারে রাজ করছে। তাই আপনি যদি চকোলেট খেতে পছন্দ নাও করেন তাহলেও মনখারাপের সময় একবার চকোলেট খেয়ে দেখুন। আপনার ভালো লাগবেই।