সারাবছর বিশেষ করে শীতকালে দুর্দান্ত ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে আমলকী। শীতে ফুসফুসের রোগকে দূরে রাখতে জরুরি দাওয়াই আমলকীর কাঁচা রস বা আমলকী থেকে তৈরি সিরাপ। আমলকীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ধর্ম এই কাজ করতে পারে বলেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে এই ফল অত্যন্ত জনপ্রিয়। যাঁদের সর্দি-কাশি অর্থাৎ ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কাঁচা আমলকী বিশেষ উপকারে লাগে।
আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আয়রন শোষণের মাধ্যমে রক্তাল্পতা দূর করতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রস্রাবের জ্বালাভাব কম করা, অতিরিক্ত রক্তস্রাব রোধ করা, ত্বক ও চুলের যত্নে এই ফলের তুলনা হয় না। ভিটামিন সি, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং এসেন্সিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে আমলকীর মধ্যে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য আমলকী ভাল কাজ দেয়।
আয়ুর্বেদ বলে নিয়মিত আমলকী খেলে বার্ধক্য রোধ হয়। শীতের দিন রোজ একটা করে আমলকী খেলে আপনার শরীরে ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ হতে পারে। আমলকী মেটাবলিজম হার বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম রয়েছে। এই উপাদানটি ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়ায় সহায়তা করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে আমলকীর মধ্যে। এই ফাইবার আমাদের হজমশক্তি ভাল রাখে। এছাড়াও দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
মানসিক অবসাদ দূরে রাখে। পলিফেনলস এবং ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান সমৃদ্ধ আমলকী মানসিক চাপ কমায়। উদ্বেগ, অবসাদের অন্যতম কারণ হল অক্সিডেটিভ হরমোনের অত্যধিক ক্ষরণ। এই হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে আমলকী।