দোলযাত্রার দিন শিবের আরাধনা করা হয় কেন?

পূর্ব ভারতে অনুষ্ঠিত হয় দোলযাত্রা উৎসব, এই উৎসবই আবার উত্তর-পশ্চিমে হোলি। বাঙালির ন্যাড়াপোড়া অন্য প্রান্তে হোলিকা দহন। নামের ভেদ থাকলেও আচার-রীতিতে মিল আছে। দোল-হোলি দুই-ই রাধাকৃষ্ণের উৎসব নামে চিহ্নিত। কিন্তু এই বিশেষ তিথিতে আরও একাধিক দেবতার পুজো হয়। হিন্দু ধর্মে আরও অন্তত দশ দেবতার পুজো অনুষ্ঠিত হয় এদিন।

দোলের দিন বিশেষ শিব উপাসনা করেন শিবভক্তরা। পুজোর সময় হোলিকা দহনের ভস্ম অর্পণ করা হয় মহেশ্বরকে। মনে করা হয় এই প্রথা অশুভের নাশ করে সৌভাগ্য বহন করে আনবে। এদিনই কামদেবকে ভস্ম করেন মহাদেব। রতিকে বর দেন, কৃষ্ণের পুত্র প্রদ্যুম্ন রূপে জন্মগ্রহণ করবেন কাম দেব। এ দিন শিব মন্দিরে ঘি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে জলাভিষেক করা হয়।

দোলের দিন মহাবীরের পুজো হয়। কোথাও সিঁদুর, কোথাও আবির অর্ঘ্য দেওয়া হয় তাঁকে।  দোল পূর্ণিমায় গণেশ পুজো হয়।

হলুদ রঙের বাতাসা দিয়ে পুজো করা হয় নারায়ণের। সঙ্গে থাকে মট, ফুট কড়াইয়ের মতো দোলের অনুষঙ্গ।

হোলির আগের দিন হোলিকা দহনের সময় পূজিত হন বিষ্ণু। তাঁর নৃসিংহের অবতারকেও অর্চনা করা হয়। ত্রেতাযুগের শুরুতে বিষ্ণু ধুলি বন্দন করেন। সেই অনুযায়ী পালিত হয় ধূলেন্ডি অর্থাৎ ধূলি বন্দন। সকলে একে অপরকে ধূলো মাখানো হয়। তারপর শুরু হয় হোলি উৎসব। বিষ্ণুর সঙ্গে পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী।  

ফাল্গুনের এই পূর্ণিমায় পূজিত হন কৃষ্ণ। ফাগ আবির দিয়ে পুজো করা হয় তাঁকে। দোলযাত্রা প্রকৃত অর্থে যেন কৃষ্ণেরই উৎসব। এদিন রাধারানীর পুজোও করা হয় আলাদাভাবে।   

হোলিকা দহনের পরের দিন সম্পদা দেবীর পুজোর প্রথা প্রচলিত আছে। মহিলারা এই পুজো করেন। মঙ্গল কামনায় হাতে সূতোর ডোর বাঁধেন তাঁরা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...