গরমে নাজেহাল শহরবাসী- কি ভাবছেন এখনই ?
এখন তো গরমকাল শুরুই হলো না| চৈত্রের শেষ হতে দিন দশেক এর বেশি বাকি, কিছুদিন আগে কাল-বৈশাখী এসেছিল বটে তবে বৈশাখ এখনো এসে পৌছায়নি|
দিনে দিনে বেড়ে চলা গরমে আমরা যাই কাজ করি না কেন আমাদের ক্লান্তি বেশি হয়| এরকম সময় গরমের অনুভূতি মানুষের খিদে কমিয়ে দিচ্ছে| শরীর শুধু কম খেতে চায়| শুধু জলে আপনার তেষ্টা মিটবে কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় খিদে মিটবে না|
তো এখন ভাবা উচিত গরমে কি খেলে আপনার শারীরিক খিদে মিটবে আর শরীর অসুস্থ হবে না বরং তেজোময় হয়ে উঠবে|
১) শুধু জলের বদলে আমরা গ্লুকোজ মিশ্রিত জল খেতে পারি| যা শরীরের কার্যশক্তি বাড়ায়|
২) ‘টক দই’ হলো গরমে সব থেকে ভালো স্বস্তি| টক দই খাওয়া যেমন ডায়েট এর জন্য প্রযোজ্য তেমনি টক দই খেলে পেট ঠান্ডা থাকে|
৩) পানীয় ছাড়া আমরা যা খাওয়ার কথা ভাবি তা হলো ফল; ফ্রুট স্যালাড একদম পারফেক্ট গরমের জন্য|
৪) এছাড়াও ফলের জুস খেতে পারি, বিশেষ করে তরমুজের রস|
ভাবছেন এতরকমের মরশুমী ফল থাকতে তরমুজের কথা কেন বলা হচ্ছে?
কারণ নিশ্চই আছে- তরমুজ হলো প্রাকৃতিক জলের সমাহার, আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি আর এক ধরনের লাল উপাদান যার নাম ‘লাইকোপিন’| বৈজ্ঞানিক মতে ১০০ গ্রাম তরমুজে পাওয়া যায় ৮.১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি| এতে থাকা ভিটামিন-সি ত্বকের জন্য ভালো আর লাইকোপিন শরীরের হাড়কে বুড়ো হতে বাধা দেয়|
সম্প্রতি আমেরিকাতে হওয়া একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে কিছু উত্তেজনা জাগিয়ে তোলা কথা জানা যায়| সেখানের টেক্সাস এ এন্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টারে এই গবেষণাকার্য চলে অনেকদিন ধরে|
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে তরমুজ হলো একপ্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিডের উৎস যার নাম ‘সিট্রুলিন’| এই অ্যামাইনো অ্যাসিডটির গুণাবলী হলো এটি রক্তনালীর কার্যশক্তি এবং রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ায়| অর্থাৎ এককথায় তরমুজ আমাদের ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা রাখতে পারে|
তাই গরমের মোকাবিলা করতে খেতেই পারেন ‘তরমুজ’|