ডায়াবেটিস নিয়ে আলোচনা কম দিনের নয়। কিন্তু যতবার আলোচনা হচ্ছে, গবেষণা হচ্ছে বারবার উঠে আসছে নানা নতুন তথ্য। সম্প্রতি এক গবেষণাতে দেখা গেছে, পৃথিবীতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। দেখা গেছে বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি মহিলা টাইপ টু ডায়াবেটিসের শিকার। রক্তে শর্করার মাত্রা একবার বেড়ে গেলে খুব সহজে তাকে আয়ত্তে আনা যায়না। দিনের পর দিন রোগীকে আরো অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিতে পারে এই রোগটি। তাই শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে বুঝলেই নানারকম খাবারের প্রতি মানুষের একরকম ভয় চলে আসে। মিষ্টি, আলু প্রভৃতি তো খাবারের পাত থেকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। কিন্তু শুধু মিষ্টি খাওয়া ছাড়লেই কি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
কর্মব্যস্ত জীবনে খাবার খাওয়ার সময়ের বড্ড অভাব। জীবনের দৌড়ে দৌড়াতে দৌড়াতে নাওয়া-খাওয়া সব জলাঞ্জলি দিতে বসেছে মানুষ। এইরকম একটি সময়ে দাঁড়িয়ে স্ট্রিট ফুড বা বাইরের খাবারের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে সবাইকে। রাস্তার ধুলোবালি মিশ্রিত মোমো, চাউমিন, এগরোলেই এখন পেট ভরাতে হচ্ছে সকলকে। তৎক্ষণাৎ পেট ভরে গেলেও পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এইসব খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমান বাড়তে পারে হু হু করে।
বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে নানারকম রিফাইন্ড অয়েল। সমস্ত সংস্থাই দাবি জানাচ্ছেন যে, তারাই সেরা। বিজ্ঞাপনে এই দাবিও করা হচ্ছে যে, তাদের সংস্থার তেল খেলে রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকবে নিচে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, বাজারে প্রাপ্ত নানাধরণের তেল অতটাও ভালো হয় না যতটা সব সংস্থারা দাবি করে। সেই তেলে ভাজা খাবার খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান বাড়তে পারে।
গরম কাল আসতে না আসতেই আইসক্রিমের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন? এখনই সাবধান হয়ে যান কারণ আইসক্রিম থেকে শরীরে ইন্সুলিন হরমোনের পরিমান বহুগুণ বেড়ে যায়।
রক্তে চিনির পরিমান নিয়ন্ত্রণে রাখতে এড়িয়ে চলুন ভাত, সাদা পাঁউরুটি, পাস্তা প্রভৃতি। রক্তে শর্করার
মাত্রা বাড়াতে এক বিশেষ ভূমিকা নেয় এই খাবারগুলি। তার জায়গায় ব্রাউন ব্রেড এবং ওটমিলজাতীয় খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
গরমে মিষ্টির দোকানে ঢুকলেই মনে হয় যে এক ভাঁড় ঠান্ডা দই খাই। কিন্তু সাবধান, পরিবারে সুগারের ধাত থাকলে বাইরের দই এর থেকে ঘরে পাতা দই খাওয়া ভালো। বাইরের দইতে থাকা অতিরিক্ত মিষ্টি এবং নানারকম ফ্লেভার যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
তাই শুধু মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করে দিলেই চলবে না। সাথে নিজের লাইফস্টাইল এবং খাওয়া-দাওয়ার অভ্যেসে বদল আনুন। দেখবেন সুগার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।