আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাছ মাংস খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া ভার। ডিম সেদ্ধ থেকে শুরু করে ডিমের কারি, ডিমের পোচ, ডিমের ডেভিল এমনকি ডিমের চপ মানুষদের কাছে স্বর্গের অনুভূতির সমান। কিন্তু আমরা অনেক সময়েই দেখে থাকি কিছু ডিমের কুসুম হয় হলুদ এবং কিছু ডিমের কুসুম হয় কমলা বর্ণের। কুসুমের বর্ণের তফাতের মত তফাৎ রয়েছে তাদের খোলসেও। হলুদ কুসুম সমেত ডিমগুলি হয় সাদা এবং কমলা কুসুমযুক্ত ডিম হয় লালচে রঙের। অনেকদিন ধরেই হলুদ কুসুম ভালো না লাল কুসুম তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে পুষ্টিগুণে কোনো তফাৎ নেই এই দুই প্রকারের মধ্যে। তাহলে কিজন্য আলাদা হয় এই রং? ডিমের খোলসের রং নির্ধারিত হয় মুরগির ব্রিডের উপর নির্ভর করে যেমন লেগহর্ন ব্রিডের মুরগির ডিম হয় সম্পূর্ণ সাদা এবং রোড আইল্যান্ড রেড ব্রিডের মুরগির ডিম হয় হালকা থেকে ডিপ ব্রাউন। ডিমের খোলসের রং মুরগির ব্রিডের উপর নির্ভর করে হলেও ডিমের কুসুমের রং নির্ধারিত হয় মুরগির খাদ্যের উপর নির্ভর করে। মুরগির খাদ্য হয় সাধারণত সবুজ ঘাসপাতা, আলফা আলফা ঘাস, ভুট্টার দানা প্রভৃতি। মুরগি যদি এমন খাবার খায় যাতে "জ্যান্থোফিল" রঞ্জকের পরিমান বেশি সেক্ষেত্রে ডিমের কুসুমের রং হয় কমলা এবং গম ও বার্লি খাওয়া মুরগির ডিমের কুসুমের রং হয় হালকা হলুদ। অন্যদিকে প্রচলিত কথা অনুযায়ী, দেশি মুরগির ডিমের কুসুমের রং হয় কমলা।বহুবার এই কুসুমের রঙ নিয়ে নানা গবেষণা হয়েছে। প্রতিবারই যে একটাই সত্য উঠে এসেছে তা হল, ডিমের রঙের উপর নির্ভর করে না ডিমের পুষ্টিগুণ। হলুদ কুসুমে যতটা পরিমান ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে ততটা পরিমান ভিটামিন ও প্রোটিনই থাকে কমলা রঙের কুসুমেও। তাই রং নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই কারণ "সানডে হো ইয়া মানডে রোজ খাও আনডে"|