নাম তার জলভরা

বাইরে থেকে নিটোল তালশাঁস। আঙুলের আলতো চাপে ভাঙলেই বেরিয়ে আসে জল। নাম তার জলভরা। নাম শুনলেই জিভে জল। মিষ্টি প্রিয় হোক বা কম প্রিয়, এই ডাককে এড়িয়ে যাবে এমন সাধ্য নেই বাঙালির।

জামাই ঠকাতে তৈরি হয়েছিল এই সন্দেশ। ছানার তৈরি সন্দেশের পেটের ভিতর গোলাপ জল। আবার শীতের সময় সোনালী তাজা নলেন গুড়। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।

বাংলায় বেড়াতে এলে দেশি বিদেশি পর্যটকরাও খোঁজ করেন এই মিষ্টির। কোথায় পাওয়া যায় জলভরার দেখা? আজকের কলকাতায় আসল 'জল ভরা সন্দেশ'-এর ঠিকানা  ‘বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক’। তবে শুধুমাত্র 'জল ভরা সন্দেশ' নয়, নলেন গুড়ের বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি মিলবে এখানে। এক সময় এই গুড়ের সন্দেশের জন্য কলকাতায় খ্যাতি অর্জন করেছিল  ‘বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক’ । সেই সময় আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রিয় মিষ্টি ছিল ‘বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক’-এর নলেন গুড়ের 'গুলি সন্দেশ'

তবে এখন ‘বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক’-এর জল ভরা সন্দেশের স্বাদ পেতে বহু মানুষ এখানে আসেন। তবে এছাড়াও নতুন প্রজন্মের জন্যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি নিয়ে এসেছেন তাঁরা। যার মধ্যে নাম রয়েছে দরবেশ, মিষ্টি দই, পান সন্দেশ, বেকড রসগোল্লা, বেকড কালাকান্দ, চকলেট সন্দেশ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলের সন্দেশের স্বাদ মিলবে এখানে।

সম্প্রতি দোল উৎসব উপলক্ষেও তাঁরা বানিয়ে ছিলেন ঠান্ডাই সন্দেশ, কেশরের সন্দেশ, কেশর রসমালাই, রঙ্গোলী সন্দেশ। বর্তমানে কলকাতার ভবানীপুর ছাড়াও বালিগঞ্জ, কসবা, লেক গার্ডেন, পার্কস্ট্রীট, ইকোপার্ক, সল্টলেক, গড়িয়াহাট, রাসেল স্ট্রীট ও রথতলায়  ‘বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক’-এর শাখা রয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...