বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণকে ঘিরেই বেশ কয়েকটি পার্বণ রয়েছে। তার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি কৃষ্ণাষ্টমী ও গোকুলাষ্টমী নামেও এই উৎসব পরিচিত। বিভিন্ন পুরাণে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথির উল্লেখ রয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী অষ্টমী তিথি, রোহিণী নক্ষত্র, বৃষ লগ্ন ও বুধবার মাঝরাতে মথুরার কারাগারে কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। দ্বাপর যুগে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য শ্রীকৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন।
জন্মাষ্টমী উৎসব ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালন করা হয়। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হবে। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ২৬ অগস্ট ভোর ৩টা ১২ মিনিট থেকে। পরের দিন ২৭ অগস্ট ০৪:১৬-তে শেষ হচ্ছে।
এ বছর রোহিণী নক্ষত্রে পালিত হবে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। পরের দিন অর্থাৎ নবমী তিথিতে গোকুল বৃন্দাবনে পালিত হবে কৃষ্ণ জন্মোৎসব। তাই এ বছর ২৭ আগস্ট ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা হবে। এ বছর ২৬ অগস্ট কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে জয়ন্তী যোগ তৈরি হচ্ছে।
বাংলায় নবদ্বীপে জন্মাষ্টমী শ্রীশ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী হিসেবেই পালিত হয়। পরেরদিন চলে নন্দোৎসব।কাঁচরাপাড়া-কল্যাণীর কৃষ্ণরাই জিউর মন্দিরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজও বহু ভক্তের সমাগম হয়।