রবিবার থেকে শহর কলকাতার তাপমাত্রার পারদ এতটাই চড়ে গেছে যে তা হার মানিয়েছে বাঁকুড়া ও শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রাকেও। রবিবার কলকাতার সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যেখানে বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি যেখানে বাঁকুড়ার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম লক্ষ্য করা যায়। বীরভূমের তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলের তাপমাত্রা ছিল কলকাতার কাছাকাছি,৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রার উর্দ্ধগতি বজায় থাকলেও গত কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে অধিক মাত্রায়। এই পরিস্থিতিতে কলকতার পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গের বেশ কিছু জেলায় অস্বস্তিকর গরমের বিশেষ কারণ হয়ে দাড়ায়। এখনই অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করলেও, বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা তৈরী হয়নি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। তবে চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে বুধবারের ভিতর এই অবস্থার পরিবর্তন আসতে পারে বলে আশা জাগিয়েছেন আবহাওয়াবিদগন।
পূর্ব বিহারের ওপর তৈরী একটি ঘূর্ণাবর্ত আগামীদিনে দক্ষিণবঙ্গ সংশ্লিষ্ট ঝাড়খন্ড -এর দিকে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণাবর্তটি সরে এলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর থেকে তাই সোমবার থেকে বুধবারের পশ্চিমবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কোন কোন এলাকায় কি মাত্রায় ঝড়-বৃষ্টি নামবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি বিশেষজ্ঞগণ। তবে বজ্রগর্ভে মেঘ তৈরী হবার পর তা দেখে কোন এলাকায় কত বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে সতর্ক করবে আবহাওয়া দপ্তর। ঝড় বৃষ্টির আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন, কালবৈশাখীর সম্ভাবনা দিনের আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন ঘটাবে না কিন্তু রাতে স্বস্তি দেবে নিশ্চই।