সদ্যই মহাসমারহে পালিত হয়েছে জন্মাষ্টমী উৎসব। বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে শ্রীকৃষ্ণের এই জন্ম উৎসব পালন করা হয়েছে। তবে জন্মাষ্টমীর পরেই আসে রাধাষ্টমী উৎসব। এই দিনটিকে রাধা জয়ন্তী নামেও অভিহিত করা হয়। এই সময় ভক্তি ও নিষ্ঠা ভরে রাধারানীর পূজা সম্পন্ন করা হয়।
এ বছর রাধাষ্টমীর তিথি পড়েছে ১১ই সেপ্টেম্বর। জন্মাষ্টমীর ঠিক ১৫ দিন পর অনুষ্ঠিত হয় রাধাষ্টমী। প্রত্যেক বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়। রাধারানীর ভক্তরা নিষ্ঠা ভাবে পালন করে রাধারানীর জন্মদিন। মনে করা হয় এই তিথিতেই বরসানায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাধা। আর তারপর শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গী হয়ে নানা লীলা ঘটিয়েছেন মর্ত্যধামে।
তবে প্রত্যেক পূজার আগে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলেন ভক্ত ও পূজারীরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাধাষ্টমী পূজার আগের নিয়ম:
রাধাঅষ্টমীর দিন অনেকেই উপবাস করেন। সেক্ষেত্রে ব্রহ্মমুহূর্তে উঠে, স্নান করে যদি উপবাস রাখা যায় তবে তা নিয়ম অনুযায়ী খুব ভালো। এছাড়াও পুজোর কয়েকটা দিন সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করা উচিত। মাছ মাংস পেঁয়াজ রসুনের মত আমিষ খাবার বাদ দেওয়া উচিত। পূজার দিন ভোগের প্রসাদের তালিকায় পুরি, মালপোয়া, ছোলার ডাল ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার রাখলে রাধারানী প্রসন্ন হন। এছাড়াও মন্ত্র, স্তোত্র ও অভিষেকের মাধ্যমে এই পূজা সম্পন্ন করলে রাধারানীর কৃপা পাওয়া সম্ভব।