আর্থোস্কোপিক সার্জারি কী? জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট কখন করতে হয়? এই ধরনের সার্জারির পর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া যায়? প্রতিদিনের দিনের জীবনে কী ধরনের সতর্কতা জরুরি? হাড় ভালো রাখতে কীভাবে শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত? বিস্তারিত জানালেন আনন্দলোক হসপিটালের অর্থোপেডিক সার্জেন ডাঃ অমিত রায় (Dr. Amit Roy)
বয়স হয়ে গেলে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, হাঁটা চলায় সমস্যা এই ধরনের বিষয়গুলোর মুখে কেন পড়তে হয়? সে প্রসঙ্গে ডাঃ অমিত রায় জানিয়েছেন, এই সমস্যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় অস্টিওপোরোসিস। মানে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাড় ক্ষয় হয় এবং সেই ক্ষয় একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় হয়। Bone density কমতে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি হয় মেনোপজের পর। ৪৫ বছর বা তার পর থেকে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অনেকখানি দ্রুত হতে থাকে।
হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ সম্ভব। মানে আগে থেকে কিছুটা রোধ করা যায়। সেটার জন্য সর্ব প্রথম দরকার নিয়মিত শরীর চর্চা। শরীর চর্চার ফলে আমাদের শরীরে নতুন স্টিমুলেইজার নতুন হাড় তৈরি করে। আমরা যখনই নিয়মিত এক্সারসাইজের মধ্যে থাকি আমাদের শরীরে নতুন হাড় তৈরি হতে থাকে। হাড়ের যে ক্ষয় সেই হাড়ের ক্ষয়টা অনেক কম হয়। তার সঙ্গে নিয়মিত আমাদের ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং শাক সবজি নিউট্রিশনযুক্ত খাবারদাবার খেলে হাড়ের ক্ষয় অনেকটা কম হতে থাকে।
এছাড়া নিজেদের ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। যত আমাদের ওজন কম থাকবে, সঠিক মাত্রায় থাকবে তত হাঁটু, হিপ জয়েন্ট যে সমস্ত জয়েন্টে দেহের ভার পড়ে সেগুলো অনেক ভাল থাকে। আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা ভুল ধারণা আছে যে নিয়মিত ক্যালসিয়াম খাওয়া হয়ত খারাপ। বা ক্যালসিয়াম খেলে আমাদের কিডনিতে স্টোন হয়ে যাবে কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। প্রথমত, ক্যালসিয়াম খাওয়ার জন্য কখনও কিডনিতে স্টোন হয় না। দ্বিতীয়ত, একটা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্যালসিয়াম নিয়মিত যদি একটা করে খাওয়া যায় এবং সেটা যদি বছরের পর বছর হয় তাতে কোনও অসুবিধা নেই। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে সাপ্লিমেন্টের মতো।