২৩ অগাস্ট ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে প্রথম পা দেয়। তারপর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই, রোভার প্রজ্ঞান বিক্রমের পেট থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হাঁটতে শুরু করেছিল ৷ প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং ইসরোর লোগোর ছাপ দিয়েই কাজ শুরু করে।
এই চন্দ্রযান ৩ মিশনে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিশাল গর্বের ব্যাপার৷ ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে ভারত ইতিহাস গড়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে ভারত প্রথম অবতরণ করে এবং ভারতের এটি প্রথম সফট ল্যান্ডিং।
চাঁদে একদিন মানে সেটা পৃথিবীর কাছে ১৪ দিনের সমান এবং রাত নামার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে, তাই চাঁদে ১৪ দিনের রাতও হয়। চাঁদের আকাশে যখন সূর্যাস্ত হয়, তখন তাপমাত্রা খুব দ্রুত গতিতে মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নেমে যাওয়ার প্রবলতা থাকে। তাই ২৩ অগাস্ট, ২০২৩ থেকে, ১৪ দিন পর, প্রজ্ঞান এবং বিক্রম ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে। নিস্তেজ হয়ে পড়বে তাদের ভিতরে থাকা সমস্ত যন্ত্রপাতিও। কিন্তু ইসরো বিজ্ঞানীরা আশাবাদী হয়ে বলেছেন যে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ২৮ দিন পর আবার সূর্যের আলো পেলেই চালু হতে পারে। ভারতের চন্দ্রযান মিশনের জন্য একটি ভালো দিক।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে চাঁদের মাটিতে সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার স্থায়ীভাবেই চাঁদের বাসিন্দা হয়ে যাবে৷ পৃথিবীতে তাদের ফিরে আসার জন্য অন্য কোন প্রোগ্রাম করা হয়নি৷
প্রসঙ্গত, প্রজ্ঞান রোভারটি চন্দ্র পৃষ্ঠের খনিজ গঠন পরীক্ষা করছে৷ চাঁদের মাটিতে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং টাইটানিয়ামের গঠন রয়েছে৷ চাঁদের মাটিতে দক্ষিণ মেরুর চারপাশের শিলাগুলির ওপর পরীক্ষা চলছে৷