হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট একধরণের বংশগত রোগ। বংশের কারোর এই রোগ থাকলে তা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে চলে যায়। কখনো আবার সাধারণ ঠান্ডা লেগেও শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। কিন্তু এই দুই ধরণের শ্বাসকষ্ট আবার আলাদা হয়ে থাকে। বংশগত শ্বাসকষ্ট যাদের তাদের ছোট থেকেই অনেক যত্নে এবং সাবধানে থাকতে হয় কারণ জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে তাদের শ্বাসকষ্ট-এর সমস্যা এসেই যায়। অন্যদের ক্ষেত্রে অতটাও সমস্যা হয় না। বংশগত শ্বাসকষ্টকে অ্যাজমা বলা হয় তা সকলেরই জানা। আর এটা সকলের জানা যে,অ্যাজমা যাদের হয় তাদের ইনহেলার নিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের প্রভাবে শ্বাসকষ্ট কম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইনহেলারের উপর ভরসা করে থাকতে হয় রোগীদের। কিন্তু অনেক আপৎকালীন সময়ে আবার দেখা যায় ইনহেলার শেষ হয়ে গেছে। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ইনহেলারের বদলে কি ব্যবহার করা যেতে পারে চলুন জানা যাক.............
১) শুয়ে থাকাকালীন যদি মনে হয় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাহলে তাড়াতাড়ি উঠে বসুন। কারণ শুয়ে থাকলে নিঃশ্বাস নিতে বেশি কষ্ট হয়। চেষ্টা করবেন যাতে ঘাড়ের নিচে বালিশ নিয়ে শুতে পারেন। এতে মাথা শরীরের থেকে উঁচুতে থাকবে।
২) জোরে ফ্যান চালিয়ে দিন। এই সময় শরীরে অক্সিজেনের পরিমান কমে যায়। আর এই সময় জোরে জোরে লম্বা লম্বা শ্বাস নিন যাতে বেশি পরিমানে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
৩) নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখুন। নাক দিয়ে প্রশ্বাস টেনে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করুন। বেশ কয়েকবার এরকম করলে কিছুটা উপশম হবে।
৪) শ্বাসকষ্ট যখন হবে তখন পারলে একটু গরম কফি খেয়ে দেখবেন। কফি যদি না থাকে বাড়িতে তাহলে গরম জল বা দুধ ও খেতে পারেন।
৫) হাঁপানির টান উঠলে কখনো ঘাবড়ে যাবেন না। কাছাকাছি কেউ থাকলে তার সাহায্য নিন। ঘাবড়ে গেলে বা টেনশন করলে যে কোনো পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই সেই সময় রিল্যাক্স থাকুন।
৬) বদ্ধ ঘরের মধ্যে হাঁপানি হলে ধীরে ধীরে উঠে বাইরে খোলা বাতাসে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘরের গুমোট পরিবেশের কারণে অনেকসময় হাঁপানি হতে পারে।
৭) হাঁপানি থাকলে সবসময় কর্পূর সাথে নিয়ে বেরোন। হঠাৎ হাঁপানি হলে কর্পূরের গন্ধ শুঁকতে থাকুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে একদমই ভুলবেন না। যাদের এই রোগ রয়েছে তারাই বোঝেন এই রোগের কষ্ট কতটা। সাধারণ রোদ, ধুলো, দূষণ যেকোনো কিছু থেকেই হাঁপানির টান শুরু হতে পারে। তবে জানা যায়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেয়ে যান আর ধূমপান একদম বন্ধ করে দিন। এইভাবেই মুক্তি পেতে পারবেন এই রোগ থেকে।