অতিমারীর দিন এখনও ফুরিয়ে যায়নি। এখনও মাস্ক আর স্যানেটাইজারের ব্যবহার মানুষের নিত্য সঙ্গী। এখনও পৃথিবী ফিরতে পারেনি তার আগেকার চেনা জীবনে। মাঝে মধ্যে ভয় দেখায় ভাইরাসের নতুন রূপ। মনে করিয়ে দেয় ঘরবন্দী জীবনকে।
গত দু’বছর মানুষকে বারবার শিখিয়েছে স্বাস্থ্যই আসল সম্পদ। তার প্রতি যত্নশীল হওয়া কতটা জরুরী। শরীরের নাম মোটেই মহাশয় নয়, মোটেই সে যা সওয়াবে তাই সয় না। বরং উল্টোটা। শরীরের নিয়মেই আমাদের চলতে হবে। একই কথা খাটে আমাদের এই নীল গ্রহটি নিয়েও।
আমাদের গ্রহ আমাদের স্বাস্থ্য। ‘আওয়ার প্ল্যানেট, আওয়ার হেলথ’। ২০২২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এই থিমকে সামনে রেখেই গোটা বিশ্বকে মারী থেকে ঘুরে দাঁড়াবার ডাক দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু মানুষ নয়, সুস্থ থাক আমাদের গ্রহও।
প্রতিবছর ১৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র পরিবেশগত কারণে। যা এড়ানো সম্ভব। জলবায়ু সংকটও স্বাস্থ্য সঙ্গকটের মধ্যেই পড়ে।
গ্রহের তাপমাত্রা বাড়ছে। ৯০ শতাংশ মানুষের নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকছে বিষ বাতাস। পর্বত থেকে সমুদ্র সবই প্ল্যাস্টিক বর্জ্যের গ্রাসে। ক্যান্সার, অ্যাজমা, হৃদরোগের জটিল সমস্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গোটা পৃথিবীকেই এই গ্রহ এবং তার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়ে ওঠার কথা মনে করিয়ে দিতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন শুরু হয়। দিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবসও বটে। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের প্রস্তাব দেওয়া হলে তা ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়।