শরতে বাঙালি দুর্গোৎসবে মাতলেও আদি দুর্গাপুজো হয় চৈত্রমাসে। লোকমুখে যা আজ বাসন্তী পুজো। স্মরণাতীত কাল থেকে এই পুজো ভারত ভূখণ্ডে হয়ে আসছে। যদিও শারদীয়ার বাড়বাড়ন্তে, বাসন্তিকার ধারণা অনেকটাই ম্লান। বর্তমান সময়ে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে পারিবারিক পুজো হিসেবেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে।
ইতিহাস বলছে, চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পুজোই প্রকৃতপক্ষে দুর্গাপুজো। বছরের এমন সময় বাসন্তী পুজো প্রচলিত হওয়ার, নেপথ্যে অন্য একটি কারণও রয়েছে বলে, কেউ কেউ মনে করেন। বসন্ত ঋতুর শেষে গ্রীষ্মের শুরুর, এই সময়টাতে সেকালে বসন্ত রোগের প্রকোপ খুব বেশি ছিল। টিকাহীন চিকিৎসাহীন সেই অতীতে দুর্বার বসন্তের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য মায়ের আরাধনা করে, মায়ের কৃপা প্রার্থনা করা হত। হয়ত রোগকে প্রশমিত করার জন্য তাই বাসন্তীদেবীর পুজোর প্রচলন হয়েছিল। বাসন্তীপুজোর সময়কালের মধ্যে অন্নপূর্ণা পুজো করলে অন্নের অভাব হয়না।
এ বছর বাসন্তীপুজোর মহাষষ্ঠী পড়ছে ১৪ এপ্রিল। সপ্তমী তিথি পড়ছে ১৫ এপ্রিল। বাসন্তীপুজোর অষ্টমী তিথি পড়ছে মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল। ১৭ এপ্রিল মহানবমী। সেদিন পড়ছে রামনবমী। দশমী তিথি ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫.৩৮ মিনিটে শেষ হবে।