রাজ্যের অনেক মানুষই EMU লোকাল ট্রেনগুলিতে চড়েছেন। খুব কম-ই আছে যারা চড়েননি। এই EMU ট্রেনগুলির জন্যই আরও দ্রুত যাতায়াতের মাধ্যম তৈরি করে দিয়েছেন রেলযাত্রীদের জন্য। এছাড়া আরও সুবিধা করে তুলেছে গোটা ব্যবস্থাকে।
দ্রুতগতির ত্বরণ থেকে শুরু করে চওড়া কোচ, চওড়া দরজা- জানালা তৈরি করে আরও চলাচলের ব্যবস্থা এবং কোচের ভেতরে হাই স্পিড ফ্যানগুলি যাত্রীদের জন্য আরাম দিয়ে চলেছে।
১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে প্রথম EMU ট্রেন চলাচল শুরু করে হাওড়া-শেওড়াফুলি সেকশনে। এই EMU ট্রেনে রয়েছে অনেকগুলি ইউনিট রয়েছে। এই ট্রেনে প্রত্যেকটি ইউনিটে দুটি ট্রেইলার কোচ এবং একটি মোটর কোচ এবং EMU ট্রেনে কোচের সংখ্যা তিনের গুণ বেশি হয়ে যাবে।
বর্তমানে পূর্ব রেলের অধিক্ষেত্রে ৯ কোচ বা ১২ কোচ EMU ট্রেনের চলাচল করে। এই প্রত্যেকটি ট্রেইলার কোচে ১১৩ জন যাত্রী বসতে পারে যেখানে মোটর কোচে বসতে পারে ৯৮ জন যাত্রী। এছাড়া এই EMU ট্রেনগুলিতে স্থানীয় পণ্যের সহজে বাজারজাত করার জন্য vendor কোচও যুক্ত থাকে, যেখানে ৮৬ জন যাত্রী বসতে পারে।
এই ট্রেনের DC মোটরগুলিকে ২৫ KV AC ট্র্যাকশন এবং কনভার্টারের সাহায্যে চালানো হয়। শহরে প্রায় রোজ ১২৭২টি EMU লোকাল চলাচল করে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে ৩৮৬ টি লোকাল ট্রেন এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে ৮৮৬ টি লোকাল ট্রেন চলে।
দেখতে ট্রেন চলাচল করে। সেই ট্রেনে চলে দূরত্বে। এই MEMU ট্রেনগুলির কোনও আলাদা ইঞ্জিন থাকে না। মোটর কোচগুলি ইঞ্জিনের কাজ করে এখানে। , চলে মোট
রয়েছে আরও এক ট্রেন। সেটি হল । করে। এর মধ্যে ১১ টি হাওড়া ডিভিশন এবং ৩৯ টি মালদহ ডিভিশনে চলে।
এই EMU, MEMU আর DEMU ট্রেনগুলি পূর্ব রেলের অধিক্ষেত্রে স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে কম খরচে যাতায়াতের জন্য সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে বেশ সুবিধার হয়।