জন্ডিসও হয়ে উঠতে পারে মারণ রোগের লক্ষণ?

গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার সামগ্রিকভাবে এতটাই বেড়েছে যে, কারুর ক্যানসার হয়েছে শুনলে আর কেউ তেমন চমকায় না, বরঙ জোর দেয় তার সমাধানে। মানে সঠিক চিকিৎসার পথের খোঁজে।

সব ধরনের ক্যানসারের মধ্যে প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারকে বলা হয় রাজা ক্যানসার। অগ্ন্যাশয় দেহের ইনস্যুলিন ক্ষরণের প্রধান কেন্দ্র। দেহে ইনসুলিন ক্ষরণের প্রধান কেন্দ্র অগ্ন্যাশয়। দেহে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে বড় ভূমিকা রয়েছে ইনসুলিনের। আর ওই গ্রন্থিতেই বাসা বাধতে পারে মারণ ক্যান্সার। জন্ডিসও জটিল হয়ে উঠতে পারে। লিভার থেকে যে পিত্তরস ক্ষরণ হয় তাতে বাধা পেলে জন্ডিস হয়। এই জন্ডিসই হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক। পাকস্থলীর পিছনের ছোট্ট হকির মতো দেখতে গ্রন্থি অগ্ন্যাশয়ের কোষসমূহ আনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে এক পিণ্ডের আকার ধারণ করে। আর এই ক্যান্সার কোষগুলোগুলো ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক অঙ্গকে আক্রমণ করে। 

প্রাথমিক পর্যায়েই এই রোগ ধরা পড়লে নিরাময় সম্ভব।

লক্ষণ

ত্বকের রঙ ফ্যাকাসে বা হলুদ হয়ে যাওয়া। প্রস্রাবের ঘনত্ব, রঙবদল, কোষ্ঠ কাঠিন্য, শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা, অত্যাধিক গরম বা কাঁপউনির মতো একাধিক পরিবর্তন দেখা যায় শরীরে। টিউমার বাড়তে শুরু করলে অতিরিক্ত ক্লান্তি, ওজন হ্রাস, পিঠে পেটে ব্যথা-যন্ত্রণা। অনেক সময়  খাওয়ার সময় বা শুয়ে থাকার সময় বেশি খারাপ অনুভব করা আর সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে কিছুটা উপশম হতে পারে এ সময়।  বদহজমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে বা পেট ফোলা ভাব হতে পারে। বদহজম হওয়া অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। জিনও হয়ে উঠতে পারে এই রোগের কারণ।   

অনেক সময় সব উপসর্গ যে বোঝা যায় এমনও নয়। তবে শরীরে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য হলেও সাবধান হোন।

সার্জারি এবং কেমোথেরাপি দু’ভাবেই চিকিৎসা করা হয় অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে। পূর্ব ভারত তো বটেই, দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এখানে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। চিকিৎসা এবং যোগ সংক্রান্ত তথ্য মেলে  সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে।       

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...