পেটে অস্বাভাবিক ব্যাথা। খিদের ইচ্ছে চলে গিয়েছে। ওজন হ্রাস। সারাক্ষণ ক্লান্তি। বমি বমি ভাব। জ্বর। একটানা পেটের সমস্যা। তার জেরে খিটখিটে স্বভাব একের পর এক সমস্যা। এরকম যদি চলতে থাকলে তাহলে কোনওভাবেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। হতেই পারে এসবই যকৃৎ বা লিভার ক্যানসারের লক্ষণ।
যকৃৎ শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। শরীর থেকে টক্সিন এবং ক্ষতিকারক পদার্থকে বাইরে বার করে দেয়।পেটের ডান দিকের ওপরে এবং পাঁজরের নিচে যকৃতের অবস্থান।
যকৃৎ পিত্ত উৎপাদন করে, যা চর্বি, ভিটামিন এবং অন্যান্য পৌষ্টিক উপাদান হজম করতে সাহায্য করে। এটি পুষ্টির উপাদানগুলিকে সংরক্ষণ করে রাখে এবং ঔষধ ও টক্সিনকে ভাঙতে সাহায্য করে। যকৃৎ ক্যানসারকে হেপাটিক ক্যানসারও বলা হয়।
লিভার ক্যানসার দু’ধরনের হয়। প্রাথমিক লিভার ক্যান্সার, যা লিভার কোষে শুরু হয়। যদি ক্যানসারের অন্য কোথাও শুরু হয় এবং লিভারে ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি লিভার মেটাস্টাসিস বা সেকেন্ড লিভার ক্যানসার বলে।
বিভিন্ন ধরনের যকৃৎ ক্যান্সার তৈরি হয়।
১) হেপাটোসেলুলার হেপাটোসেলুলার
২) ফ্যাইব্রোল্যামেলার এইচসিসি
৩) কোলাঞ্জিওকার্সিনোমা
৪) এঞ্জিওসার্কোমা
৫) হেপাটোব্লাস্টোমা
সব ধরনের লিভার ক্যানসারের মধ্যে হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা বা হেপাটামা সবচেয়ে সাধারণ। এঞ্জিওসার্কোমা এবং হেপাটোব্লাস্টোমা বিরলতম গোত্রের ক্যানসার।
অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান, মধুমেহ, অ্যাফ্লাটক্সিন, আর্সেনিক লিভার ক্যানসারের বিপদকে আরও বাড়িয়ে তোলে। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ত্বকে পরিবর্তন হয়। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে ত্বকে হলুদ ভাব দেখা যায়। তাই এমন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট পূর্ব ভারত তো বটেই, দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র। আধুনিকতম পদ্ধতিতে ক্যানসার নিরাময় করা হয়। আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। চিকিৎসা এবং যোগ সংক্রান্ত তথ্য মেলে সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে।