গরমে স্ট্রেস কমান

চিন্তা, দুশ্চিন্তা এই দুই নিয়ে মানুষের জীবন। আর তার সাথে ফ্রিতে যদি পাওয়া যায় স্ট্রেসকে তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। কি তাই তো? বুঝতেই পারছেন কি বলছি। মানসিক শান্তি! কখনো পাশে বসে থাকা লোকটিকে দেখে মনে হয় আহা এই লোকটির জীবনে কতোই না শান্তি। কিন্তু সত্যিই কি তাই?  না, আপাত দৃষ্টিতে পাশে বসা মানুষটির জীবনে অনেক শান্তি বিরাজ করছে বলে মনে হলেও মানসিক অশান্তিতে সকলেই একটু না একটু ভুগেই থাকেন। কিন্তু মানসিক অশান্তি যখন স্ট্রেস এর আকার নিয়ে নেয় বিপদ ঘনায় তখনই।

স্ট্রেস নানা কারণেই হতে পারে। সাংসারিক অশান্তি থেকে শুরু করে পড়াশোনার চাপ, কাজের চাপ প্রভৃতি কারণে স্ট্রেস আসতে পারে। তার সাথে বিনামূল্যে এসে হাজির এই অসহ্য গরম। বাইরে প্রচন্ড রোদ আর হয় বাড়িতে মায়ের নাহয় অফিসে বসের বকা। এই দুই মিলিয়ে স্ট্রেস আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্ট্রেস জিনিসটি মোটেও ভালো নয়। দীর্ঘদিন স্ট্রেসের মধ্যে থাকার ফলে মানসিক সমস্যাও তৈরী হতে পারে।

এখন যেহেতু গরম তাই এই সময় হিট স্ট্রেস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। হিট স্ট্রেস কি? হিট স্ট্রেস হলো গরমের ফলে অতিরিক্ত পরিমান মানসিক ক্লান্তি বোধ করা। গরমে ক্লান্তি সকলেরই আসে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ক্লান্তিই মানসিক ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় হিট স্ট্রেস বলা হয়ে থাকে। কিন্তু কেন হয় এই হিট স্ট্রেস? বাইরের তাপমাত্রা যতক্ষণ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে ততক্ষন আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। যেই বাইরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রির বেশি হয়ে যায় তখনই শরীর থেকে ঘাম বেরোতে শুরু করে। ঘাম বেরোনোর ফলে অনেকসময় জলশুন্যতা দেখা যায়। এই জলশুন্যতার ফলে একদিকে যেমন হতে পারে হিট স্ট্রোক তেমনই হতে পারে হিট স্ট্রেস। অতিরিক্ত গরমের সময় ছাতা ছাড়া রাস্তায় বেরোনো, বন্ধ ঘরের মধ্যে বসে একটানা কাজের ফলে হিট স্ট্রেস হতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সময় হাওয়া বাতাসযুক্ত জায়গায় বসে কাজ করা উচিত। বলা হয়, সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে বাইরে না বেরোনোই ভালো। হিট স্ট্রোক যেসব কারণে হয় সেইসব কারণে কিন্তু হিট স্ট্রেসও হতে পারে। তাই এই গরমে যতটা সম্ভব কম বাইরে বেরোন আর নেহাত যদি বেরোতেই হয় তাহলে ছাতা ও জল অবশ্যই সাথে নিন। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...