১২-১৮ মার্চ পৃথিবী জুড়ে পালিত হয় গ্লুকোমা সপ্তাহ। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের সমস্যার দ্বিতীয় প্রধান কারণ গ্লুকোমা।
গ্লুকোমাকে বলা হয় নীরব ঘাতক। এই রোগে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চোখের স্নায়ু। রোগের কারণ একাধিক। চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ (প্রেশার) বেড়ে গিয়ে গ্লুকোমা হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ স্বাভাবিক থাকলেও এ রোগ হয়।বংশগত ইতিহাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইনাস বা প্লাস পাওয়ার, মাইগ্রেন, চোখের আঘাত, চোখের অন্যান্য রোগ এবং চিকিৎসকের উপদেশ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিতভাবে স্টেরয়েডজাতীয় চোখের ড্রপ ব্যবহার থেকেও হতে পারে।
সঠিক চিকিৎসার অভাবে চিরদিনের মতো দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন গ্লুকোমা আক্রান্ত রোগী। তবে একেবারে শুরুতেই রোগ ধরা পড়লে গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়।
একাধিক লক্ষণ দেখা যায় গ্লুকোমার। তবে এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকমভাবে আসে। চোখ ব্যথা ও লাল হওয়া, চোখ আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়া। উজ্জ্বল কিংবা একটু কম আলোয় দেখতে অসুবিধা হওয়া। আলোর চারপাশে বিভিন্ন বাড়তি রং দেখতে পাওয়া। চোখ, মাথা ও কপালব্যথা। চোখ ফোলা। বমি ভাব-এর মতো সমস্যা দেখা দেয়।
আগে ধারণা ছিল গ্লুকোমা সাধারণত বয়সজনিত রোগ। চল্লিশের পর গ্লুকোমা আছে কিনা পরীক্ষা করা জরুরী। কিন্তু এই ধারণায় এখন বদল এসেছে। কোনও বয়সের মানুষ এমনকী, সদ্যোজাতরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। কখনও কখনও জন্ম থেকেও এই রোগ হতে পারে। জন্মের পর শিশুর চোখ থেকে অনবরত জল পড়া, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, অস্বচ্ছ মণি ও অক্ষিগোলক বড় হতে থাকা—এসব লক্ষণ দেখামাত্রই অবহেলা না করে চক্ষু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। আনন্দলোক হসপিটালের চক্ষুবিদ্যা বিভাগে গ্লুকোমা চিকিৎসার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। আছে চক্ষু বিশেষজ্ঞ টিম। চক্ষুরোগ চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইটে।